
মো কামরুল হোসেন সুমন,
মনপুরা:
দ্বীপ জেলা ভোলার মনপুরা উপজেলার মেঘনায় প্রতিবছর জৈষ্ঠ্য ও আষাঢ় মাসকে ইলিশের ভরা মৌসুম ধরা হয়। সে হিসেবে এখন জাল ভরে উঠে আসার কথা রূপালী ইলিশ। কিন্তু মনপুরার মেঘনা পাড়ের জেলেরা জানালেন ভিন্ন কথা।
সামান্য কিছু ইলিশ শিকার করেই ঘরে ফিরতে হচ্ছে জেলেদের। আবার কেউ কেউ ফিরছেন খালি হাতে।এমন পরিস্থিতিতে আর্থিক সংকটে পড়েছে মনপুরার দশ হাজার জেলে পরিবার। আড়ৎদারের দাদনের চাপ, এনজিওর কিস্তির জ্বালা, সংসারের খরচ এবং ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে অনেকেরই পিট ঠেকেছে এখন দেয়ালে।
আড়ৎদারের দাদনে আবদ্ধ থাকায় চাইলেও করার সুযোগ নেই অন্য পথে উপার্জন। এসব সমস্যার সমাধান হিসেবে নদীতে পর্যাপ্ত ইলিশ`ই যেন জেলেদের আশার আলো।
লতাখালি মৎস্য ঘাটের জেলেরা বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর নদীতে ইলিশের পরিমাণ অনেক কম। এত কম মাছে তেলের টাকা যোগানো কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। নদীতে ইলিশ মাছ না বাড়লে বউ পোলাপান নিয়া না খেয়ে মরতে হবে তাদের।
ইলিশের আড়ৎদারগন জানান, বিগত দিনের তুলনায় এবার ইলিশ কেনা-বেচা অনেক কম। কোটি টাকা চালান খাটিয়ে ইলিশের অপেক্ষায় বসে থাকতে হয়। নদীতে পর্যাপ্ত ইলিশ না হলে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কষ্টকর হয়ে যাবে।
এবিষয়ে অনেক জেলে নেতারা জানান তারা ধারনা করেন, নদীতে পানির পরিমাণ বাড়লে, পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি হলে মেঘনায় ইলিশের পরিমাণ বাড়তে পারে।
তারা আরো জানান, ডোবা চরের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এবং অবৈধ জাল (বেহুন্দি,কারেন্ট, চর ঘেরাও, খুরশি) দিয়ে জাটকা মাছ ধরাও ইলিশ না বৃদ্ধির অন্যতম কারন হতে পারে।
এসব অবৈধ জাল দিয়ে জাটকা মাছ বা চাপলি যা ইলিশের বাচ্চা বলা হয় সেগুলো ধরা বন্ধ না করলে ইলিশের পরিমাণ নদীতে আরে কমে যেতে পারে।
Sharing is caring!