
রাজ রোস্তম আলী,স্টাফ রিপোর্টার:-
ঢাকা সাভারের নবীনগর এলাকায় জাতীয় স্মৃতিসৌধের সন্নিকটে অবস্থিত ফুটওভার ব্রিজটি বর্তমানে এলাকাবাসী ও দর্শনার্থীদের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে ব্রিজটির বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে ফাটল, ক্ষয় ও মরিচা। ফলে প্রতিদিন শত শত পথচারী, শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়ে এই ব্রিজ ব্যবহার করছেন।
সরোজমিনে দেখা যায়, ব্রিজটির বিভিন্ন অংশে লোহার রেলিং ভাঙা, সিঁড়ির ধাপগুলো ক্ষয় যাওয়া এবং পাটাতন গুলো পাতলা ও মরিচা ধরা অবস্থায় রয়েছে। উপরন্তু, রাতে আলো না থাকায় অন্ধকারে চলাচল আরও বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ব্রিজটির সিঁড়ি ও পাটাতনে মরিচা ধরা ও ভাঙনের কারণে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিশেষ করে রাতের বেলায় ব্রিজটিতে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় বাচ্চা নিয়ে আসা-যাওয়া খুব কষ্ট। ব্রিজটি দিয়ে খুব সতর্কভাবে আসতে হয়, একটু অসতর্ক ভাবে আসলে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্মৃতিসৌধে ঘুরতে আসা মো: মোক্তারুজ্জামান বলেন, আমি মাঝে মধ্যে ফ্যামিলি নিয়ে ঘুরতে আসি। স্মৃতিসৌধ আমাদের দেশের একটা গর্ব। এটার পাশেই ব্রিজটির অনেক খারাপ অবস্থা। যেকোনো সময় এখানে একটা এক্সিডেন্ট হয়ে যেতে পারে। সিঁড়ির কয়েকটি স্টেপ পা দিলে একদম নিচে পড়ে যাবে। টোটালি এটা বন্ধ করে দেয়া উচিত অথবা এটা তাড়াতাড়ি সংস্কার করা উচিত।
এই ওভার ব্রিজে নিয়মিত চলাচল করা পথচারী তানভির আহমেদ বলেন, স্মৃতিসৌধে অনেক পর্যটক আসে। এত এত পর্যটক যখন এই স্মৃতিসৌধ থেকে বের হয় তখন এই ওভার ব্রিজটাকে মূলত ব্যবহার করে থাকে। এই ওভার ব্রিজের মধ্যে মরিচা পড়া বড় বড় ছিদ্র আছে । এটা খুবি ভয়ংকর অবস্থার মধ্যে আছে। এটার সমাধান না হলে অসংখ্য মানুষ বিপদগ্রস্ত হবে। সরকার এবং কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি যত দ্রুত সময় এটি সমাধান করা হয়।
স্থানীয় এক দোকানি আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ স্মৃতিসৌধে ঘুরতে আসে। এই ওভার ব্রিজের মাধ্যমে তারা রাস্তা পাড়াপাড় হয়। এই ব্রিজের অনেকগুলো পাটাতন ভেঙে গেছে, আনেকেই এখানে হুচট খেয়ে পরে আহত হয়েছে। খুব দ্রুত এটি সংস্কার করা দরকার।
এলাকাবাসীর দাবি, এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি জাতীয় স্থাপনার পাশে থাকা ফুটওভার ব্রিজটির এমন বেহাল দশা রাষ্ট্রের অবহেলারই প্রতিচ্ছবি। প্রতিদিন দেশ-বিদেশের হাজারো মানুষ স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনে আসেন। কিন্তু এ ব্রিজের বিপজ্জনক অবস্থা তাদের জন্য লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এই বিষয়ে সড়ক ও জনপদ মানিকগঞ্জ জোনের
নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাহরিয়ার আলম এবং মানিকগঞ্জ নয়ারহাট সড়ক উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী দেবাশীষ সাহার সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও উভয়ে ফোন কল টি রিসিভ করেননি।
Sharing is caring!