৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ভাসানীর ৯ মার্চের ভাষণই মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামের পরিপূর্ণ অনুপ্রেরণা জোগায়: জসিম তালুকদার

admin
প্রকাশিত মার্চ ২৫, ২০২৫, ১০:৪২ অপরাহ্ণ
ভাসানীর ৯ মার্চের ভাষণই মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামের পরিপূর্ণ অনুপ্রেরণা জোগায়: জসিম তালুকদার

Manual2 Ad Code

নিজস্ব সংবাদদাতা:

৯ মার্চ ভাসানীর ভাষণের ফলে ২৬ শে মার্চ সমগ্র বাংলাদেশের জনগণ দূর্বার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন বলে মন্তব্য করেন ন্যাপ নেতা জসিম তালুকদার।

২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সকল মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের সর্বস্তরের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানান বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- বাংলাদেশ ন্যাপের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক স্বাধীন ভাষার জেলা প্রতিনিধি চিকিৎসক জসিম উদ্দীন মাহমুদ তালুকদার।

তিনি দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের বাংলা কে বলেন,স্বাধীন বাংলাদেশর স্বপ্নদ্রষ্টা মুকুটহীন সম্রাট মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী পল্টনের জনসভার ৯ মার্চের ভাষণ ও ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা মূলত একই সূত্রে গাঁথা। মওলানার ৯ মার্চের ভাষণই মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামের পরিপূর্ণ অনুপ্রেরণা জোগায়।

এই ভাষণ স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সেদিন উত্তাল ঢাকার ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত এক বিশাল জনসভায় বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি একাত্বতা প্রকাশ করে ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতা অর্জন করতে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়ার দেশবাসীকে নির্দেশনা দেন তিনি।

ন্যাপ নেতা আরো বলেন, ৯ মার্চ, ১৯৭১ সালে ঢাকা শহর মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছিল ইতিহাস তার সাক্ষী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে শেখ মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণের পর ৯ মার্চ অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ ছিল মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হমিদ খান ভাসানীর ভাষণ।

Manual8 Ad Code

৭ মার্চের ভাষণের পর বাংলার এই অবিভাবকের প্রতি বাঙালীরা নির্দেশের অপেক্ষামান ছিল। যার জন্য ৯ মার্চ পল্টন ময়দানে জনসভার আয়োজন। ঢাকার ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত বিশাল জনসভায় বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি একাত্বতা প্রকাশ করে ভাষণের ফলে ২৬ শে মার্চ সমগ্র বাংলাদেশের জনগণ দূর্বার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

পল্টনের জনসভায় ভাসানী পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের উদ্দেশে বলেন,‘অনেক হয়েছে আর নয়, তিক্ততা বাড়িয়ে লাভ নেই।“লা-কুম দিনিকুম অলিয়া দ্বীন” অর্থাৎ তোমার ধর্ম তোমার, আমার ধর্ম আমার; পূর্ব বাংলার স্বাধীনতা স্বীকার করে নাও। সাড়ে সাত কোটি বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতার সংগ্রামকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না।’

ইয়াহিয়া খান, তোমার যদি পশ্চিম পাকিস্তানের পাঁচ কোটি মানুষের জন্য দরদ থাকে তাহলে তুমি পূর্ব বাংলাকে স্বাধীন ঘোষণা কর। এতে করে দুই পাকিস্তানে ভালবাসা থাকবে, বন্ধুত্ব থাকবে। কিন্তু এক পাকিস্তান আর থাকবে না, থাকবে না, থাকবে না!’

Manual5 Ad Code

পল্টনে সেই বিশাল জনসভায় মজলুম জননেতা দৃঢ় কণ্ঠে আরও বলেন, ‘অচিরেই পূর্ব বাংলা স্বাধীন হবে।’

ভাসানীর বক্তব্যে স্বাধীনতা সংগ্রামে বামপন্থিদের অংশগ্রহণ আরও শক্তিশালী হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে মাওলানা সিদিন বলেছিলেন ‘বাঙালি, বিহারি, হিন্দু, মুসলমান সকলেই এ দেশের অধিবাসী। এদের জানমাল রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। বিহারিরা পশ্চিমা নয়।’

Manual7 Ad Code

পশ্চিম পাকিস্তান’কেন্দ্রিক পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ, নির্যাতন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে স্বায়ত্তশাসনের যে পর্যায়ক্রমিক আন্দোলন ১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা যুদ্ধকে অনিবার্য করেছিল, মওলানা ভাসানী ছিলেন তার অন্যতম প্রধান নির্মাতা। যুদ্ধকালীন বাংলাদেশ মুজিব নগর সরকারকে সহায়তা দানে “মুজিবনগর সরকারের সর্বদলীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন মওলানা ভাসানী।”

Manual5 Ad Code

ন্যাপ নেতা পরিশেষে বলেন, আসুন ভাসানীর আত্মত্যাগ ও নির্লোভ আর্দশে বলিয়ান হয়ে দেশ সেবায় সকলে এগিয়ে আসি।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code