
জামালপুর প্রতিনিধিঃ-
জামালপুর, সরিষাবাড়ী শফিকুল ইসলাম, পিতা হাজি মো. চাঁদ মিয়া, গ্রাম দৌলতপুর, পোঃ জগন্নাথগঞ্জ, সরিষাবাড়ী, জামালপুরের একজন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত হলেও, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন নির্যাতন ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা তার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, শফিকুল ইসলাম ব্যবসার নাম করে নিরীহ ব্যবসায়ীদের প্রলুব্ধ করেন এবং তাদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা আদায়ের পর নির্যাতন চালান। ২০১৮ সালের শেষের দিকে বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজের তিনজন টেকনিশিয়ান—মো. হায়দার আলি, হাসান ও রুবেলকে মেশিন সেটআপের জন্য এস আই ফুড বেভারেজ অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানিতে পাঠানো হয়।
তবে সেখানে পৌঁছানোর পর শফিকুল ইসলাম বিদেশ থেকে মোবাইলে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তার বাবা, ভাই ও কারখানার ম্যানেজার মিলে তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালান। একপর্যায়ে তাদের কারখানায় তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। পরে হায়দার আলির স্ত্রী যাত্রাবাড়ী থানায় অভিযোগ করলে, পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. মোশারফ হোসেন জানান, শফিকুল ইসলামের কারখানায় কাজের পরিবেশ ছিল অত্যন্ত নাজুক। তিন মাসের কাজ শেষ করতে নয় মাস লেগেছে, যার ফলে তাদের ১০ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে। পাওনা টাকা দাবি করলে শফিকুল ইসলাম বিভিন্ন তালবাহানা করে এবং পরিশোধ করতে অস্বীকার করেন।
এছাড়া, নতুন মেশিন সরবরাহের শর্তে আগের মেশিন ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও, শফিকুল ইসলাম তা ফেরত দেননি। উল্টো তার পেশিশক্তি ব্যবহার করে বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজের কর্মীদের কারখানা থেকে বের করে দেন।
ভুক্তভোগীরা দাবি করেন, শফিকুল ইসলাম রাজনৈতিক সংযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণের পাশাপাশি, সরকার পরিবর্তনের পর নতুনভাবে বিএনপি সমর্থক বলে পরিচয় দিচ্ছেন। এছাড়া, তার শ্বশুর সিআইডি কর্মকর্তা হওয়ায় প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে প্রতিপক্ষকে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মোশারফ হোসেন জানান, শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তিনি প্রভাব খাটিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করছেন। এছাড়া, মেশিন এক্সপার্ট সৌরভ খানকেও রাজনৈতিকভাবে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন, যেন ভবিষ্যতে আর কেউ এমন প্রতারণা ও নির্যাতনের শিকার না হয়।
Sharing is caring!