৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটের কারণে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে

admin
প্রকাশিত মার্চ ১৯, ২০২৫, ০৮:৫২ অপরাহ্ণ
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটের কারণে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে

Manual3 Ad Code

বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ-

উপজেলাবাসী। মাত্র একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবার কার্যক্রম। উপজেলা থেকে জেলা শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। জেলা শহর দূরে হওয়ায় এখানকার মানুষের একমাত্র চিকিৎসাসেবার কেন্দ্রবিন্দু এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিজয় কুমার রায়কে আবাসিক রোগীদের দেখা থেকে শুরু করে বহির্বিভাগের রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়াসহ সব কাজ করতে হচ্ছে। এতে প্রশাসনিক কাজে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যা এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেসংখ্যক চিকিৎসক থাকার কথা, সেই সংখ্যক চিকিৎসক নেই। মেডিক্যাল অফিসার থাকার কথা ১৬ জন, সেখানে রয়েছে মাত্র দুজন।

এর একজন বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে, অন্যজন এক মাসের ছুটিতে রয়েছেন। এদিকে ১০জন বিশেষজ্ঞ কনসালটেন্ট থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র একজন। বর্তমানে তিনি প্রেষণে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আছেন।

এ ছাড়া একজন ডেন্টাল সার্জন রয়েছেন। বন্ধ রয়েছে অপারেশন থিয়েটার। দীর্ঘ এক যুগেরও অধিক সময় ধরে অপারেশন থিয়েটার বন্ধ রয়েছে।

Manual3 Ad Code

শত সংকটের পরেও এখানে প্রতি মাসে গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন গর্ভবতী মায়ের স্বাভাবিক প্রসব করানো হচ্ছে। অপারেশন থিয়েটারটি চালু করতে হলে প্রয়োজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। চাহিদার চেয়ে চিকিৎসক কম থাকায় কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। ফলে প্রায় সময় বাধ্য হয়ে জেলা শহরে গিয়ে রোগীদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।

Manual4 Ad Code

দেখা যায়, বহির্বিভাগে প্রতিদিন প্রায় কমবেশি ৩০০ থেকে ৩৫০ জন রোগী সেবা নিতে আসেন। প্রতিদিন জরুরি বিভাগে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী সেবা নিচ্ছ্নে। এতসংখ্যক চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক।

Manual5 Ad Code

বোচাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিজয় কুমার রায় বলেন, চিকিৎসক সংকটের কথা আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারাও চেষ্টা করছেন। আমি আমার পক্ষ থেকে চেষ্টা করছি। চিকিৎসক সংকটের কারণে উপজেলার মানুষ অনেকটা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

Manual6 Ad Code

তিনি আরো বলেন, আমি একা মানুষ। যেটা আমার কাজ না সেটাও করতে হচ্ছে। আবাসিক রোগীদের রাউন্ড দিতে হচ্ছে। এছাড়া বহির্বিভাগের রোগীও দেখতে হচ্ছে। এতে আমার যে প্রশাসনিক কাজ, সেসব ব্যাহত হচ্ছে। এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মেডিক্যাল অফিসার।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code