৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় মে দিবস: ন্যাপ নেতা জসিম তালুকদার

admin
প্রকাশিত এপ্রিল ৩০, ২০২৫, ০৭:৩১ অপরাহ্ণ
খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় মে দিবস: ন্যাপ নেতা জসিম তালুকদার

বিশেষ প্রতিনিধি,চট্টগ্রাম:

সংকটকালে শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত, শ্রমজীবী মানুষের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান ও চিকিৎসার নিশ্চয়তার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দীন মাহমুদ তালুকদার বলেন, ‘মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ‘মে’ দিবস। মেহনতি জনতার আত্মোৎসর্গের পথ বেয়ে আবারও ফিরে এসেছে মে দিবস। মহান মে দিবসে নতুন করে শপথ নিয়ে শ্রমিক শ্রেণিকে সব ধরনের শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। মে দিবসের বিপ্লবী প্রেরণায় শোষণমুক্তির সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে হবে। ’

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জসিম উদ্দীন মাহমুদ তালুকদার পয়লা মে, মহান মে দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে শ্রমজীবীদের ন্যায্য অধিকারের তাৎপর্য বিষয়ে বলেন, সারা বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শ্রম দিবসটি পালন করা হয়।
শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস বা মে দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।

শ্রমিক ঠকানো ইসলামের দৃষ্টি জঘন্যতম পাপ; বরং ইসলামের নির্দেশনা হলো, শ্রমিক তার প্রাপ্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না হলেও মালিক তাকে প্রাপ্য বুঝিয়ে দেবে এমন নিয়ম সমাজে চালু করতে পারলেই শ্রমজীবীদের জীবন স্বার্থক হবে।

তিনি আরো বলেন, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী বাংলার আপামর খেটে খাওয়া মানুষের কথা বলেছেন। শতাব্দীর সিংহপুরুষ ভাসানী আসাম থেকে শুরু করে পূর্ববাংলার পথে-প্রান্তরে অধিকার বঞ্চিত, কৃষক শ্রমিক মানুষের কথা বলতে গিয়ে শাসকের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ১ মে ‘মহান মে দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাপের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দীন মাহমুদ তালুকদার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বলেন, মালিক-শ্রমিক সবাই ভাই ভাই। তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক হবে শ্রদ্ধা-স্নেহ, সৌহার্দ ও বিশ্বস্ততায় ভরপুর। শ্রমিক ও মালিক উভয়ের নিজ নিজ প্রাপ্য বুঝে পাওয়ার অধিকার রয়েছে। ইসলামেও বলা হয়েছে নিজ নিজ কর্তব্য পালনে দায়িত্বশীল হতে। শুধু মালিক বা শুধু শ্রমিক নয়; বরং উভয়কে সুসংহত আচরণ করার নির্দেশও দিয়েছে।

শ্রমনীতির শ্রেষ্ঠত্ব ও স্বাতন্ত্র্য বিষয়ে ইসলাম মালিক ও শ্রমিকের জন্য অভিন্ন খাবার ও বস্ত্রেরও নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশনার আলোকে বোঝা যায়, একটি উচ্চ মানসিকতাসম্পন্ন শ্রমনীতির কথা বলেছে, যেখানে শ্রমিকের মানসম্মত জীবন-জীবিকা নিশ্চিত হয়।

শ্রমিকের মর্যাদাপূর্ণ জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা মালিকেরই দায়িত্ব।

তিনি বলেন, যে শ্রমিকের শ্রম মেধায় মানব সভ্যতার বিকাশ, উত্থান এবং মালিকদের বিত্ত বৈভব, সেই শ্রমিককে ঝুকির মাঝে ফেলে ছাটাই করে, অর্ধাহারে অনাহারে রেখে, মে দিবসের মর্যাদা রক্ষা করা যায় না। আসলে আমরা শ্রম বা শ্রমিকের মর্যাদা বুঝেও বুঝতে চাই না। একজন মানুষের জীবনধারণের জন্য যা যা প্রয়োজন, অর্থাৎ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা এসবই একজন শ্রমিকের প্রাপ্য। আর এটাই হচ্ছে শ্রমিকের প্রকৃত মর্যাদা।’

মহান ‘মে’ দিবসে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মেহনতি মানুষের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘অম্লান ‘মে’ দিবসের অন্তর্নিহিত শক্তি ও তাৎপর্য আমাদের জাতীয়, রাষ্ট্রীয় এবং সমাজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে অনুসরণ করে চলতে হবে। সকলে শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার ও হক আদায় করে সুসম সমাজ গঠনে আত্মনিয়োগ করার সবাইকে আহবান জানান।

Sharing is caring!