১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

রিজওয়ানার কাছে মাত্র ১৫ মিনিট সময় চেয়ে পাইনি: বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী

admin
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫, ০২:৫০ অপরাহ্ণ
রিজওয়ানার কাছে মাত্র ১৫ মিনিট সময় চেয়ে পাইনি: বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী

জবি প্রতিনিধি :

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানার কাছে ১৫ মিনিট সময় চেয়ে পাননি বলে জানিয়েছেন দেশের প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী। তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থায় গবেষকদের মূল্যায়ন করা হয় না, তাঁদের কথা শোনার আগ্রহও কারও নেই। আমি যদি বিদেশে একজন মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীকেও কিছু বলি, পরদিন আমাকে ডেকে তা শোনার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে আমি বর্তমান উপদেষ্টা রিজওয়ানার সঙ্গে মাত্র ১৫ মিনিট সময় চেয়েছি, সেটিও সম্ভব হয়নি।’

আজ মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্লোবাল সাউথ স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের (জিএসএসআরসি) উদ্যোগে ‘ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একাডেমিক টকে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় বিজ্ঞানী ড. আবেদ আরও বলেন, পঞ্চব্রীহি ধানের উচ্চ ফলনশীলতা, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ও জলবায়ু-সহনশীলতা এটিকে বাংলাদেশের কৃষি খাতে গেম চেঞ্জার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে। তিনি সরকারি নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে শুরু করে মাঠপর্যায়ে এই প্রযুক্তির ব্যবহার জোরদারে পরিকল্পনার পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘ছোটবেলায় মাঠে গেলে দেখতাম, কাটার পর ধানগাছের কাণ্ড থেকে আবার সবুজ ডালপালা বের হতো। কিন্তু আবেদ স্যার বললেন, সেই ডালপালা থেকেও পাঁচবার ধান উৎপাদন সম্ভব! এটি যদি বাস্তবায়ন করা যায়, তবে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা আরও সুসংহত হবে।’

গবেষকেরা যখন উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের কাছে তাঁদের ভাবনা পৌঁছাতে পারেন না, সেটি দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন উপাচার্য। তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, এই সেমিনারে উপস্থিত সাংবাদিকেরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তুলে ধরবেন।’

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান এবং জিএসএসআরসির পরিচালক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, ‘এই সেমিনারের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের অন্যতম বিশিষ্ট গবেষকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। আমরা শিগগির সবাই মিলে আবেদ স্যারের সঙ্গে একটি বড় গবেষণা কর্মসূচির আয়োজন করব।’

জিএসএসআরসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীনের সভাপতিত্বে আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন।

স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ড. মো. আনিসুর রহমান।

Sharing is caring!