১লা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ছাতকে বাড়ছে অপসাংবাদিকদের দৌরাত্ম দীর্ঘদিন সিন্ডিকেট করে চালাচ্ছে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি

admin
প্রকাশিত জুন ২৬, ২০২৫, ১০:৪৩ অপরাহ্ণ
ছাতকে বাড়ছে অপসাংবাদিকদের দৌরাত্ম দীর্ঘদিন সিন্ডিকেট করে চালাচ্ছে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি

Manual6 Ad Code

ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ-

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় সাংবাদিক পরিচয়ে সক্রিয় হয়ে উটছে একটা অসাধু চক্র। মানুষের চরিত্র হনন, সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে ব্ল্যাকমেইল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাঁদাবাজি, ছাতক উপজেলার সরকারি বিভিন্ন অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার, চাঁদা দাবি করা, বিভিন্ন কাজের দালালি করা, সারাদিন উপজেলার বিভিন্ন অফিসে বসে থাকা, গভীর রাতে থানায় আসা-যাওয়া, মানুষকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দিবে বলে টাকা আদায়, মাদক ও বুঙ্গা (চোরাচালান) ব্যবসায় জড়িত থেকে নানা অপরাধ করে বেড়াচ্ছে সংঘবদ্ধ একটি সাংবাদিক নামধারী অপরাধ চক্র।

Manual7 Ad Code

এই অপরাধ চক্রের মূল হোতা সাংবাদিক নামধারী চাঁদাবাজ আনোয়ার হোসেন রনি ও শ্রমিকলীগ নেতা ট্রাক ড্রাইভার খালেদ মিয়া।

Manual3 Ad Code

সাংবাদিক নামধারী চাঁদাবাজ আনোয়ার হোসেন রনি ২০১৮ সালে ট্রাফিক পুলিশের করা চাঁদাবাজি মামলায় জেল খাটে। তখন পুলিশের সাথে খারাপ আচরণ ও বড় অংকের চাঁদা দাবি করায় প্রকাশ্যে মার খায় পুলিশের হাতে এবং কয়েক মাস বিছানায় অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকেন। জেল থেকে বের হওয়ার কিছুদিন পরে সে আস্তে আস্তে আরো বেশি হিংস্র হয়ে উটে। উপজেলা প্রত্যেকটা অফিস থেকে মাসিক চাদা আদায় করে। চাঁদা না দিলে পত্রিকায় নিউজ করার হুমকি দেয়। অনেকেই ঝামেলা এড়াতে টাকা দেন। নিউজের ভয়ভীতি দেখিয়ে উপজেলা ১০/১২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করেছে। তার কারণে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন প্রজেক্ট পি আই সি সহ সে তার লোক দের নামে নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে।

Manual4 Ad Code

এইরকম অনেক অভিযোগ প্রতিবেদকের কাছে আছে। রনির আচরণ অত্যন্ত খারাপ, সরকারি কর্মচারীদের হুমকি ধামকি দিয়ে কথা বলে এমন একাধিক ভিডিও প্রতিবেদকের কাছে আছে। পিআইও মাহবুবের কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন রনি খালেদের এই সিন্ডিকেট। উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার কাছে প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা চাদা দাবি করেন সাংবাদিক রনি ও খালেদ। চাঁদা না দেওয়ার কারণে এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিউজ করেছে এ চক্র। ।ঘুষ না দেওয়ায় পি আই ও মাহবুবের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগেন রনি ও সংঘবদ্ধ এই অপরাধ চক্র। ছাতক উপজেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম আহবায়ক সাংবাদিক নামধারী মদখোর বুঙ্গা ব্যবসায়ী খালেদ মিয়া বাড়ি কুমিল্লায়। খালেদ এবং তার পিতা, স্ত্রী, শালীর বিরুদ্ধে রয়েছে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ। হাসনাবাদ এলাকা সহ তার একাধিক ঘনিষ্ঠজন পরিচয় গোপন রেখে এসব বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

Manual1 Ad Code

সে আগে ছিল টুকাই তারপর গাড়ীর হেলপারি করে ড্রাইভার হয়। ছাতক মাইক্রো স্ট্যান্ডে দীর্ঘদিন ড্রাইভারি করে, আওয়ামীলীগের আমলে বিএনপি জামাত নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করত। ভুইফোড় পেইজ পোর্টালের পরিচয় দিয়ে নিজেকে অনেক বড় সাংবাদিক দাবি করে। সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করা খালেদ নিজেকে সবার কাছে এইচএসসি পাস দাবী করে।

ছাতক উপজেলার মূল ধারার সাংবাদিক এদের কর্মকান্ডে বিব্রত। সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছেনা কারা সাংবাদিক কারা অপসাংবাদিক। এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে কথা হয় তারা বলেন এই দুই নামধারী সাংবাদিকদের কারণে সাধারণ মানুষ জিম্মি। মাসিক সমন্বয় সভায় ছাতকের এক ইউপি চেয়ারম্যান রনির বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর মৌখিক অভিযোগ করেন।##

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code