
◽ জসিম উদ্দীন মাহমুদ তালুকদার, চট্টগ্রাম:
বিগত ১০ বছরে চট্টগ্রাম বাঁশখালী উপজেলাতে ১৯টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার কালীপুর রেঞ্জে ১১টি এবং জলদী রেঞ্জে ৫টি হাতির মৃত্যু হয়। বিদ্যুতের ফাঁদ, খাদ্যে বিষক্রিয়া, খাদে পড়ে, বাকি গুলো অসুস্থতাসহ নানা কারণে এসব হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে বন বিভাগের তদন্তে উঠে এসেছে।
বন্যপ্রাণী বিভাগ জানিয়েছে,৫৩টি হাতি ‘বার্ধক্যজনিত জটিলতা’ বা হৃদরোগের মতো ‘প্রাকৃতিক কারণে’ মারা গেছে। কমপক্ষে ১৭টি দুর্ঘটনায় মারা গেছে,বাকি গুলো মৃত্যুর কারণ নির্ধারণ করা যায়নি। এই সময়ের মধ্যে, চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানুষ-হাতির সংঘাতে ৪৪ জন মারা গেছে। বাঁশখালীতে হাতির তাণ্ডবে ১৫ জনের মৃত্যু ও অন্তত ৫০ জন কৃষক আক্রান্ত হয়েছেন। এবং হাতি হত্যায় ১৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সর্বশেষ ৭ নং সরল ইউনিয়নের জংঙ্গল পাইরাং ধমধমার মোড় পাহাড়ি এলাকায় ৬-৭ বছরের ১টি পুরুষ হাতিকে হত্যা, দাঁত পায়ের নখ নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। হাতিটির ময়নাতদন্তে হাতিটিকে পরিকল্পিতভাবেই হত্যা এবং আনুমানিক ৪০ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে মর্মে এজাহারে উল্লেখ করে বিট অফিসার আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে দু’জনের নাম উল্লেখ করে ১৫ থেকে ১৮ জনকে অজ্ঞাতনামায় বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের ৩৬ (১) এবং (২) ধারায় বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বাঁশখালী থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, যদি কেউ হাতি হত্যা করে- তাহলে ৭ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং এ অপরাধ যদি কেউ পুনরায় করে, তাহলে ১২ বছরের জেল ও ১৫ লাখ জরিমানা করার বিধান রয়েছে। বাঁশখালীতে প্রথম বারের মতো সাধনপুর ইউনিয়নের পাহাড়ি লটমনি এলাকায় হাতি হত্যার মামলায় বাবা ও ছেলেকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
Sharing is caring!