১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

যুক্তরাষ্ট্রের যদি রাশিয়ান জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তাহলে ভারতের কেন নয়

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৫, ২০২৫, ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রের যদি রাশিয়ান জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তাহলে ভারতের কেন নয়

Manual7 Ad Code

স্বপ্না শিমু ,স্টাফ রিপোর্টার

Manual5 Ad Code

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাশিয়ার জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তাহলে ভারতের কেন তা থাকবে না।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ইন্ডিয়া টুডের সাথে সাক্ষাতকারে এমন কথা বলেন পুতিন। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং পুতিনের মধ্যে বার্ষিক ভারত-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলন আলোচনা শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে।

ভারতের, রাশিয়ান তেল কেনা নিয়ে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে রাশিয়ান নেতা এ কথা করেন।

Manual7 Ad Code

ইন্ডিয়া টুডেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন আরও বলেন, ‘রাশিয়া থেকে ভারতের জ্বালানি সম্পদ কেনার বিষয়ে, আমি উল্লেখ করতে চাই এবং ইতিমধ্যেই একবার জনসমক্ষে উল্লেখ করেছি যে, যুক্তরাষ্ট্র এখনও তাদের নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কিনে থাকে।

হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, দুই দিনের সফরে ভারতে আসা পুতিন যুক্তি দিয়েছিলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র তার চুল্লিগুলোর জন্য ইউরেনিয়াম কিনে, তাহলে ভারতেরও একই সুযোগ থাকা উচিত। এর আগে রাশিয়ার তেল কেনার জন্য ট্রাম্প ভারতের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। যার ফলে গত আগস্টে মোট শুল্ক ৫০ শতাংশে দাঁড়ায় যা সমস্ত দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

Manual1 Ad Code

এদিকে, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের বিষয়ে বলতে গিয়ে পুতিন বলেন, আমি মনে করি তিনি (ট্রাম্প) ভালো কিছু ভেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

পুতিন বলেন, তিনি তার নিজস্ব নীতি অনুসরণ করেন এবং তার উপদেষ্টা আছেন। তার সিদ্ধান্তগুলো কোনোভাবেই অবাস্তব নয়।

তার এমন উপদেষ্টা আছেন যারা বাণিজ্য অংশীদারদের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সাথে জড়িত শুল্ক নীতি বাস্তবায়নে বিশ্বাসী, যা শেষ পর্যন্ত মার্কিন অর্থনীতির জন্য উপকারী। পুতিন যোগ করেন, রাশিয়া এই ধরনের অনুশীলন অনুসরণ করে না এবং ভবিষ্যতেও দেশটির এমন কোনো ইচ্ছা নেই।

Manual5 Ad Code

‘আমাদের বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে এতে ঝুঁকি রয়েছে, তবে কোন অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করা উচিত তা সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রতিটি দেশ এবং তার নেতৃত্বের নিজস্ব পছন্দ। আমরা কখনও এই ধরণের অনুশীলনে জড়িত হইনি, এখন করি না এবং ভবিষ্যতেও করার কোনও ইচ্ছা নেই।

আমাদের অর্থনীতি উন্মুক্ত। আমরা আশা করি যে, শেষ পর্যন্ত, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মাবলীর সমস্ত লঙ্ঘন সংশোধন করা হবে।’ পুতিন বলেন।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code