১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

শেষ নির্বাচনের আগে শেষ অনুরোধ

admin
প্রকাশিত নভেম্বর ৯, ২০২৫, ০৬:৫৬ অপরাহ্ণ
শেষ নির্বাচনের আগে শেষ অনুরোধ

Manual2 Ad Code

বিশেষ প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ে নভেম্বরের দুপুরে ধূলিধূসর মাঠে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি—দেশের এক সময়ের আলোচিত নেতার আজ যেন প্রৌঢ় ক্লান্ত ছায়া।

Manual6 Ad Code

দৌলতপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের মাঝখানে মঞ্চ, মাথার ওপরে হালকা ধোঁয়াটে আকাশ। দূর থেকে হেঁটে আসছিলেন গরিব কৃষক, হাটের দোকানদার, স্কুলছাত্র—কারো-কারো হাতে ধানের শীষের পতাকা।

Manual3 Ad Code

মঞ্চে চেয়ারে বসে মাইকে হাত রেখে গলা তুললেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর—’গণভোট হবে নির্বাচনের দিনেই,’ বললেন তিনি, ‘কারণ জনগণ চায় ভোট দিতে, বোঝে না সনদ আর তত্ত্বের গোলকধাঁধা।’ ভিড়ের পেছনে দাঁড়িয়ে এক বয়স্ক কৃষক নিঃশব্দে বললেন, ‘আমরা শুধু চাই ধানের দামটা যেন ঠিক পাই।’ তাঁর কণ্ঠে ক্লান্তি, কিন্তু আশার রেখা ঝলকে উঠলো।

Manual4 Ad Code

পাশে দাঁড়ানো এক তরুণ যোগ করল, “আমরা শুধু চাই হারানো অধিকারটা ফিরে পেতে।’ নিজের ভোটটা নিজের মতো দিতে।’ ফখরুলের কণ্ঠে তখন দৃঢ়তা—”এই সরকার জনগণের নয়, তাদের কষ্টও বোঝে না।” ভিড়ের মধ্যে কোথাও যেন নিঃশব্দ হাহাকার—যেন কথা নয়, দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভের প্রতিধ্বনি।

তিনি প্রতিশ্রুতি দিলেন, ‘ক্ষমতায় গেলে কৃষকের ধান ন্যায্য দামে কিনবে সরকার, থাকবে ফ্যামিলি কার্ড, থাকবে সম্মানজনক জীবন।’ তারপর একটু থেমে, যেন নিজের ভেতরের কথা বেরিয়ে পড়লো, বললেন—’এটাই আমার শেষ নির্বাচন… এবারে ভোটটা ধানের শীষে দিন।’ বাতাসে তখন শোনা যাচ্ছিল স্লোগানের ঢেউ—’ভোট চাই, পরিবর্তন চাই।’

Manual2 Ad Code

কেউ মোবাইলে ভিডিও করছে, কেউ হাত নেড়ে বলছে, ‘শেষবার যদি কিছু হয়…’ রোববার (দুপুরের) রোদ ক্রমে নরম হয়ে এলো। মাঠের ধুলা ধীরে ধীরে বসে গেল, কিন্তু তার কথাগুলো যেন থেকে গেল বাতাসে—এক সময়ের সংগ্রামের গল্প, এক রাজনৈতিক জীবনের শেষ অধ্যায়ের আবেদন।

ঠাকুরগাঁওয়ের সেই মাঠে দুপুরে শুধু একটি রাজনৈতিক ভাষণ হয়নি—হয়েছিল সময়ের এক আয়না তুলে ধরা। যেখানে মানুষ এখনো বিশ্বাস করতে চায়, ভোটের কাগজে হয়তো লেখা থাকবে তাদের ভাগ্যের ছোট্ট সংশোধনী।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code