১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

স্কুলের মাঠ দখল করে হাট, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

admin
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫, ০৯:২৬ অপরাহ্ণ
স্কুলের মাঠ দখল করে হাট, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

Manual8 Ad Code

দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি, দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহীর দুর্গাপুরের বাজুখলসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে বসছে হাট। সপ্তাহে দুই দিন হাটের ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে লোকে লোকারণ্য হয় পুরো মাঠ। মাঠে হাট বসায় চরম দুর্ভোগে পড়ে শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ট্রাক থামিয়ে সবজি তোলা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের মাঠে বসেছে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা। মাঠে ব্যবসায়ী ও ক্রেতা-বিক্রেতার আনাগোনা চেঁচামেচির মধ্যেই চলছে ক্লাস। হাট বসার কারণে বিদ্যালয়টিতে পাঠদান ও শিক্ষার্থীদের চলাফেরায় ব্যাঘাত ঘটছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

Manual3 Ad Code

কয়েকজন অভিভাবক জানান, সপ্তাহে সোম ও শুক্রবার—দুই দিন বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসে। সেখানে বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা আসেন। হকার বসেন। মাইকে বিকট শব্দ হয়। এতে ছেলেমেয়েদের পড়ালেখায় মন বসে না। বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বন্ধের জন্য একাধিকবার উদ্যোগ নিলেও তা সফল হয়নি।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিফাক শিমুল ও সুজন বলে, ‘আমরা কোনো সময় বিদ্যালয় মাঠে ঘাস দেখি না। আমাদের খেলাধুলা করতে ইচ্ছা করে। কিন্তু সপ্তাহে দুই দিন হাট বসায় মাঠে নোংরা পরিবেশ থাকে। আমরা স্বাভাবিক স্বাচ্ছন্দ্য পরিবেশে শারীরিক কসরত ও মুক্তভাবে খেলাধুলা করতে চাই। আমাদের মাঠে আর হাট দেখতে চাই না।’

Manual1 Ad Code

বাজুখলসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরিয়ম বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। আমার কিছু করার নেই। এর আগে বিদ্যালয় মাঠের প্রধান ফটকে তালা মেরেও হাট বন্ধ করা যায়নি। প্রভাবশালীদের দাপটে আবারও বিদ্যালয় মাঠে হাট চালু রয়েছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিদ্যালয়ের বারান্দা ঘেঁষে কেনাবেচা চলে।’

Manual8 Ad Code

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বাজুখলসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে হাট। ছবিটি সম্প্রতি তোলা। আজকের পত্রিকারাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বাজুখলসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে হাট। ছবিটি সম্প্রতি তোলা। আজকের পত্রিকা

দুর্গাপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমি এখানে আসার পর থেকে দেখছি, বিদ্যালয়ের এই অবস্থা। হাট বসানোর কারণে শিক্ষার্থীদের চলাচল ও খেলাধুলার কঠিন সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু সেখানে সরকারিভাবে হাট বসে। নতুন অর্থবছরে বিদ্যালয় মাঠ থেকে হাটটি সরিয়ে অন্যত্র নেওয়া যায় কি না, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।’

Manual1 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code