
ডিজিটাল স্বাস্থ্য কার্ডের গুম হবার রহস্য কি?
———————————-
২০১৮ সালে শুরু হয় হেলথ কার্ড। স্বাস্থ্য সেবায় একটি স্থানীয় উদ্ভাবন নামে শুরু হয় এটুআই এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ কার্ড স্ক্যাম। বছরের পর বছর চলতে থাকা পাইলট প্রজেক্টের এর নামে হাজার কোটি টাকা লোপাট। স্বাস্থ্য কার্ডের জন্য একটি বিশেষ ওয়েবসাইট চালু করা হবে বলে নেয়া হয় ২৫০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশের প্রত্যক্ষ নাগরিকের থাকবে নিজস্ব হেল্থ আইডি নাম্বার।
দেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে অটোমেশনের আওতাভুক্ত করা। শেয়ারড হেল্থ রেকর্ড এর মাধ্যমে সকল প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয়ভাবে সংযুক্তি করন অনলাইনে ঘরে বসেই রোগীরা হাসপাতালে এপফেন্টমেন্ট নিতে পারবে।
যে সব উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষে কার্ড দেবার কথা বলা হয় :
১. বাংলাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে অটোমেশনের আওতাভুক্ত করা।
২. ‘শেয়ারড হেলথ রেকর্ড’এর মাধ্যমে সকল প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ভাবে সংযুক্তিকরণ।
৩. বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে নিজস্ব ‘হেলথ আইডি’ নম্বর।
৪. সুনির্দিষ্টভাবে রোগ নির্ণয় করা।
৫. চিকিৎসাসেবার গুণগত মান বৃদ্ধি।
৬. নাগরিকদের অর্থ ও সময় সাশ্রয়।
৭. চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও সুশৃঙ্খল।
৮. সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
যে সকল সেবা দেয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়:
১. রোগীদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল স্বাস্থ্য সেবার তথ্য সংরক্ষিত থাকবে এই ডিজিটাল ডাটাবেজে।
২. পূর্বের চিকিৎসা এবং পরীক্ষা-নীরিক্ষার কাগজ হারানোর ভয় থাকবে না।
৩. রোগীর বহন করে নিতে হবে না কোন কাগজ। অনলাইনেই থাকবে সব তথ্য।
৪. শুধু হেলথ কার্ডের বদৌলতেই আপনি পেয়ে যাবেন আপনার প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা।
৫. সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট চলে যাবে আপনার ইমেইল এড্রেসে।
৬. অনলাইনে ঘরে বসেই রোগীরা হাসপাতালে এপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন।
স্বাস্থ্যখাতে সংস্কার ও সেবার মান উন্নয়নে সর্বজনীন হেলথ কার্ডকে জনগন কি প্রয়োজনীয় মনে করে জানতে চাইলে ডাঃ রাসেল বলেন,স্বাস্থ্য খাতের ডিজিটালাইজেশনের নামে কিভাবে জনগণ ধোকা খেয়ে চলেছে এটা জাতি সঠিক ভাবে জানেনা উপরের মহল এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিলে রোগীর ভোগান্তি কমবে বলে মনে করি।
লেখক পরিচিতি :
জসিম উদ্দীন মাহমুদ তালুকদার,
(লেখক ও সংবাদকর্মী)
বাঁশখালী, পৌরসভা, চট্টগ্রাম।
Sharing is caring!