১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া

Sheikh Titumir
প্রকাশিত এপ্রিল ১২, ২০২৫, ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ
খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া

ব্লাড ক্যান্সারে কেড়ে নিল একটি তাজা প্রাণ

 

মোঃ শফিয়ার রহমান,পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি:-

খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর গ্রামে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। শিক্ষক দম্পতি মোস্তাফিজুর রহমান ও মুক্তা নাহারের একমাত্র পুত্র, ১৭ বছর বয়সী মাশরাফি বিন মোস্তাফিজুর দুরারোগ্য ব্লাড ক্যান্সারের কাছে পরাজিত হয়ে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাতটায় ঢাকার পিজি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে।হাসিখুশি ও মিশুক স্বভাবের মাশরাফির অকাল প্রয়াণে স্তব্ধ হয়ে গেছে পরিবার ও এলাকাবাসী। উত্তরচক কামিল মাদ্রাসা মাঠে আজ (শুক্রবার) সকাল সাড়ে দশটায় অনুষ্ঠিত হয় তার জানাযা

একমাত্র পুত্রকে হারানোর বেদনায় মুষড়ে পড়েছেন শিক্ষক মোস্তাফিজুর ও মুক্তা নাহার। তাদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীদের সান্ত্বনাও যেন তাদের শোকের তীব্রতা কমাতে পারছে না।মাশরাফি ছিলেন তার বন্ধুদের নয়নের মণি। সদালাপী ও প্রাণবন্ত এই কিশোর অল্প বয়সেই সকলের মন জয় করে নিয়েছিল। তার আকস্মিক মৃত্যুতে বন্ধু মহলেও নেমে এসেছে গভীর বিষাদ। জানাযায় অংশ নেওয়া অনেকেই অশ্রুসিক্ত নয়নে প্রিয় বন্ধুর বিদায় জানান।

জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মাশরাফিকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ মাশরাফি সহ সকল মৃত আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করেন। এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আকস্মিক সমাপ্তি যেন কয়রাবাসীর মনে এক গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে গেল। মাশরাফির স্মৃতি দীর্ঘকাল ধরে সকলের হৃদয়ে অমলিন থাকবে।

Sharing is caring!