
চুয়াডাঙ্গা থেকে বিশেষ প্রতিনিধি:-
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের বাঘাডাঙ্গা গ্রামের সুলতানের ছেলে মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক করে প্রবাসীর সুন্দর সাজানো গোছানো ঘর ভাঙ্গার অভিযোগ উঠেছে।জানা গেছে,ফুলবাড়ি গ্রামের শহিদুলের ছেলে রিপনের সাথে বিয়ে হয় ফুলবাড়ি গ্রামের ডালিমের মেয়ে সুমাইয়ার।বিয়ের পরে তাদের সংসার ভালোই চলছিলো।বিয়ের কয়েকমাস পরে সংসারে সুখের কথা চিন্তা করে প্রবাসে পাড়ি জমায় রিপন।
রিপন অভিযোগ করে বলেন আমি প্রবাসে পাড়ি জমানোর পর তিন চারমাস আমার সংসার ঠিক ছিলো।তারপর বাঘাডাঙ্গা গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা সুলতানের ছেলে মোস্তাফিজুর আমার স্ত্রী সুমাইয়ার সাথে পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত হয়।
আমি বিষয়টা জানতে পেরে বারবার মোস্তাফিজুরকে অনুরোধ করি আমার স্ত্রীর জীবন থেকে সরে আসতে।সে কোন কর্নপাত না করে আমার সুখের সংসার তছনছ করে দিয়েছে।
আমি কয়েক মাসে আমার স্ত্রীকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ১ লক্ষ টাকার সোনার গহনা দিয়েছি।সে সব তুলে দিয়েছে তার প্রেমিক মোস্তাফিজুরের হাতে।আমি এখন অসহায় পথের ফকির হতে বসেছি। আমার কষ্টের সব টাকা ও আমার স্ত্রী এখন মোস্তাফিজুরের হাতে।মোস্তাফিজুরের দাদা মুক্তিযোদ্ধা ছিলো। তিনি মারা গেলেও সব সময় সে তার দাদার পাওয়ার দেখিয়ে চলে বলে আমি মুক্তিযোদ্ধার নাতি।
তার ভাই একটা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশে চাকরি পেয়েছে।দেশে আজ কোটা কোটা করে হাজার ছাত্রের প্রাণ গেলো।
আর তার ভাই মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেয়ে বহাল তবিয়তে আছে।তিনি জানান আমি ন্যায় বিচার চাই।
সরকারের কাছে জোর দাবী জানাই একজন প্রবাসী হিসাবে আমার সংসার যে ভেঙ্গেছে তার কঠোর শাস্তি সহ কোটায় চাকরি পাওয়া তার ভাই এর পুলিশের চাকরি বাতিল করা হোক।আমি বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার কাছে আকুল আবেদন জানাই আপনারা বিষয়টা দেখুন কোটার চাকরি বাতিলের ব্যাবস্থা করুন।
এ বিষয়ে জানতে মোস্তাফিজুর বের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
Sharing is caring!