ক্রাইম প্রতিবেদক: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রতাপপুর (হাজীপুর) দেলোয়ার হোসেন দুলুর পুত্র জসিম উদ্দিন। সীমান্তবর্তী চোরাচালান সিন্ডিকেটের কাছে সে ‘বিজিবি ও পুলিশের লাইনম্যান’ হিসেবে পরিচিত। সীমান্তে চোরাচালানের লাইন পরিচালোনা করে হয়েছেন অঢেল কালো টাকার মালিক। বর্তমান সময়েও তিনি চোরাচালান নিয়ে মরিয়া। গড়ে তুলেছেন আলাদা সিন্ডিকেট। গোয়াইনঘাট উপজেলার ২ং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন যুবদলের রাজনীতেতে জড়িত এই নেতা শান্তি দিচ্ছেন না নিজের দলকেও। চোরাকারবারি ছাড়াও দলীয় মিছিল-মিটিংয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লোকজনকে এনে নিজের শক্ত অবস্থান দেখাতে গিয়ে হয়েছেন বিতর্কিত।
গত ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপি- যুবদলের মিছিল-মিটিংয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আসার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এমনকি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পূর্নভাসনেও মরিয়া তিনি। উপজেলার পশ্চিম জাফলংয়ের প্রতাপপুর সীমান্ত এলাকায় ‘বিজিবি ও পুলিশের লাইনম্যান’ পরিচয়ে জসিমের চলছে ওপেন চাঁদাবাজি। তার বিরুদ্ধে বেপরোয়া নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেলেও বিজিবি-পুলিশ রয়েছে নিরব। কারণ বিজিবি ও পুলিশের হয়ে টাকা তুলে এই জসিম।
স্থানীয় চোরাকারবারীরা জানান, জসিম ও তার সিন্ডিকেট বাহিনী প্রতাপপুর ‘বিজিবি ও পুলিশের’ লাইনম্যান পরিচয় দিয়ে চোরাকারবারীদের নিকট থেকে প্রতিদিনি লক্ষ লক্ষ টাকা প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে। এলাকাটি সমতল হওয়ায় সহজেই ভারত বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান দিয়ে চোরাকারবারীরা ভারত থেকে অবৈধ পণ্য সামগ্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে কোনো সমস্যা হচ্ছেনা। এতে করে সীমান্তে বিজিবির সদস্যরা প্রতিনিয়ত বখরা পেয়ে থাকেন বলে বিজিবি নিরব ভূমিকায় রয়েছে। প্রতাপপুর সীমান্তে জসিম সিন্ডিকেটের ইশারায় বেপরোয়া গতিতে ছুঁটছেন চোরাকারবারীরা। আর সীমান্ত জসিম বাহিনীর দখলে। তাদের নিয়ন্ত্রনে চলছে চুরাচালানী সব কয়টি রোড। সেখানে প্রকাশ্যে চলছে চোরাচালান ব্যবসা, এতে করে এলাকার সাধারণ জনগনের ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে চোরাকারবারিরা।
এ সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে নিরাপদে। প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় ভারতীয় অবৈধ পণ্য গুলোর মধ্যে চিনি, চা পাতা, পান, সুপারি, আলু, টমেটো, কমলা,হালিম, পিয়াজ, জিরা,কসমেটিক, শাড়ি, থ্রিপিস, লেহেঙ্গা, সহ বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য নিরাপদেই পৌঁছে দেয়া হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এসবের নিয়ন্ত্রক জসিম উদ্দিন। ভারতীয় অবৈধ পণ্য সামগ্রী বাংলাদেশে প্রবেশের স্থান হচ্ছে, পান্তূমাই, বাবুর কোনা, হাজিপুর, আগলছপুর, লামাপুঞ্জি, নশকিয়াপুঞ্জি, মন্দির ঘাট, পুরাতন সংগ্ৰাম পুঞ্জি, প্রতাপপুর পুঞ্জি,ও মগলিন, হয়ে চা বাগান এলাকা দিয়ে রাধানগর বাজারে নিরাপদে প্রবেশ করেছে।
প্রতাপপুর সীমান্তে বসবাসরত অনেকের অভিযোগ করেন, সীমান্তের ওপার থেকে আশা ভারতীয় পণ্য সামগ্রী সন্ধ্যা হতে ভোর পর্যন্ত , মোটরসাইকেল ও ট্রলি বোজাই করে এসব মালামাল রাধানগর গরু বাজারে নিয়ে আসা হয়। মোটরসাইকেল ও ট্রলির বিকট শব্দে সীমান্ত পার্শ্ববর্তী এলাকার সাধারণ মানুষ ঘুমোতে পারেন না।
এ বিষয়ে জানতে জসিম উদ্দিন এর ফোনে কয়েক বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি, তাই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।