বিশেষ প্রতিনিধি।
মানিকগঞ্জে আনন্দ সাহার আশীর্বাদ গত একমাস আগেই মানিকগঞ্জের একটি কমিউনিটি সেন্টারে পারিবারিক ভাবে হয়েছে।
বর-কনের বিয়ের অনুষ্ঠান আরো জমজমাট ভাবে হওয়ার কথা ছিল আগামী ডিসেম্বর মাসে। দু'জনের বিয়ের লঘ্ন ছিল তখন-ই। এর মাঝে আনন্দ সাহা ব্যবসায়িক কাজে ঢাকা থেকে ফেরার পথে রাতে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় মারাত্মক ভাবে আ হত হন।
ওই দুর্ঘটনা এতোটাই ভয়ানক ছিল যে, আনন্দ সাহা তখন প্রাণে বেঁচে গেলেও তাঁর একটি পা ভেঙ্গে যায়, দুটি হাত সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক ভাবে আঘাত প্রাপ্ত হন তিনি।
এরপর পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসায় আনন্দ সাহার কিছুটা উন্নতি হলেও তাঁকে দেখাশোনা সমস্যার কারনে পরিবারের লোকজন আনন্দ সাহাকে পঙ্গু হাসপাতাল থেকে রেফার্ড করে মানিকগঞ্জের বসুন্ধরার আফরোজা বেগম জেনারেল বেসরকারি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অবজারভেশনে রাখেন।
আনন্দ সাহা এতোটাই আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলেন যে, সে হাসপাতালের নিজের বেড থেকে উঠে ওয়াশরুম পর্যন্ত হেটে যেতে পারেন না। যেহেতু আশীর্বাদ হয়ে গেছে সেহেতু দুর্ঘটনার পর আনন্দ সাহার নবাগত স্ত্রী বেশ কয়েকবার হাসপাতালে এসে তাঁর পরিচর্যা করে গেছেন।
এদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ হওয়ায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া শুধু আশীর্বাদে এ ভাবে মেয়ের আসা যাওয়ার বিষয়টি তাঁরা ভাল ভাবে নিতে পারছিলেন না। এরপর স্বামীকে দেখাশোনার জন্য দুই পরিবারে সম্মতিতে বিয়ের তারিখ ডিসেম্বর থেকে এগিয়ে বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে সন্ধায় হাসপাতালের একটি অব্যবহারিত রুমে আয়োজন করা হয়।
আনন্দ সাহার বাপ,চাচারা মানিকগঞ্জ শহরে প্রতিষ্ঠিত ক্রোকারিজ ব্যবসায়ী। টাউনে (অপুর্ব) নামে শহরের ভেতর তাঁদের বেশ কয়েকটি ক্রোকারিজের দোকান আছে।
সর্বশেষ নববিবাহিত আনন্দ সাহা ও অমরিতা সাহার আগামীর দাম্পত্য জীবন সুখের হোক এই কামনা রইল।