মোঃ মিঠু মিয়া,
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া খাদ্য গুদামে ভয়াবহ অনিয়ম ও চাল ঘাটতির অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের মাধ্যমে অগ্রিম বিল দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ চাল সংগ্রহের নামে দুর্নীতির সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে গুদামের মজুদে সেই চাল নেই। খাদ্য গুদাম সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, চাল সংগ্রহের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরও প্রতিদিন ১০–১৫টি ট্রাক নিম্নমানের চাল গুদামে ঢুকছে, যা সরাসরি বিধি লঙ্ঘন।
অভিযোগ উঠেছে, এক প্রভাবশালী মিল মালিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে কর্মকর্তারা অবৈধভাবে নিম্নমানের চাল গ্রহণ করছেন। শুধু তাই নয়, ১৫ আগস্টের মধ্যে অতিরিক্ত ৫০০ মেট্রিক টন চাল ক্রয় দেখিয়ে অগ্রিম বিল তোলা হয়েছে, কিন্তু ২০ আগস্ট পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী অন্তত ২৫০ মেট্রিক টন চালের অস্তিত্বই নেই।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম অভিযোগ নাকচ করে দাবি করেন, “ফলিত চাল নেওয়া হচ্ছে।” কিন্তু অনুসন্ধানে জানা গেছে, নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার পরই এ ফলিত চাল ঢোকানো শুরু হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সচেতন মহল বলছেন, এই অনিয়ম শুধু স্থানীয় নয়, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য হুমকি। তারা দ্রুত তদন্ত, মজুদের সঠিক যাচাই এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন।
জনগণের অভিযোগ, যদি এখনই দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে এ ধরনের দুর্নীতি ভবিষ্যতে জাতীয় খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে গভীর সংকটে ফেলবে।