খুলনা প্রতিনিধিঃ ফাহিম ইসলাম
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার ১নং জলমা ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিডি (৩০ কেজি) চালের কার্ড যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বাদ পড়েছেন অসহায় দরিদ্র আবেদনকারীরা, অথচ তালিকায় স্থান পেয়েছেন অনেক স্বচ্ছল পরিবারের সদস্য। এ বিষয়ে গত ১১ আগস্ট ২০২৫ তারিখে খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জুলাই ২০২৫ তারিখ বিকাল ২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত গোপনে যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। ট্যাগ অফিসার আবুবকর মোল্লা ইউপি মেম্বারদের দ্রুত তালিকা প্রস্তুত করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এতে হঠাৎ করে তৈরি করা তালিকায় অসহায়দের বাদ দিয়ে স্বচ্ছল অনেকের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ইউপি সদস্য আলম হাওলাদার বলেন, “আমাদের দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত তালিকা করতে বলা হয়। আমি যাদের চিনি তাদের নাম দিয়েছি। বাকিদের নাম গড়েমিলে তালিকায় দিতে হয়েছে।”
ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার পিয়ারা বেগম অভিযোগ করে জানান, “তালিকা করার আগে আমাকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। হঠাৎ বিকালে জানানো হয় রাতে তালিকা জমা দিতে হবে। অনলাইন তালিকা রাত ৮টার দিকে হাতে দেওয়া হয়। এত অল্প সময়ে যাচাই-বাছাই করা সম্ভব হয়নি। ফলে যাদের চিনি শুধু তাদের নাম দিতে পেরেছি, বাকি নাম ট্যাগ অফিসারই যুক্ত করেছেন।”
এ বিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নবনীতা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হোসনেয়ারা তান্নি বলেন, “অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিটি আবেদনকারীর বাড়িতে গিয়ে যাচাই করে তালিকা প্রস্তুত করার বিধান থাকলেও সেই নিয়ম উপেক্ষা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে প্রকৃত অসহায় পরিবার বঞ্চিত হয়েছে।
ভুক্তভোগী দরিদ্র আবেদনকারীদের দাবি— বিষয়টি পুনঃতদন্ত করে যেন প্রকৃত অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিতদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।