বিশেষ প্রতিনিধি: জানা গেছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর নাজমুল ইসলাম নাঈম এলাকায় শীর্ষ নেতা হয়ে গেছেন।
১৫ এপ্রিল নাজমুল ইসলাম নাঈম ও তার ছোট ভাই সায়েম রায়েরবাগ থেকে একটু পশ্চিম পাশে জোর খাম্বা রোডে তাদের একটি ফার্মেসির দোকান রয়েছে। ফার্মেসির অন্তরালে লিপ্ত থাকছেন এলাকার বিভিন্ন অপকর্মে ,এমন বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে যে, কাউকেই তোয়াক্কা করছে না । নিজেকে একজন মৎস্যজীবী দলের নেতা দাবি করে এলাকায় একটি ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করে চলেছেন।
এলাকার অনেকেই বলছেন তিনি ৫ আগস্টের পর থেকে বেপরোয়া হয়ে এলাকায় একটি চাঁদাবাজের স্বর্গ রাজ্য তৈরি করে চলেছেন।
৫ আগস্ট এর আগে বিএনপির কোন কার্যক্রমে তারে ওরকম চোখে পড়েনি কারো,কিন্তু তিনি এখন সাংবাদিক ও মৎস্যজীবী দলের বড় নেতা বলে পরিচয় দিচ্ছেন।কিন্তু কেউই তিনি কোন পদে আছেন সেটা বলতে পারছেন না।
তিনি নিজেও পদের কোন নাম বলছেন না , এলাকার কিছু বখাটে ছেলে পেলে কে সাথে নিয়ে নাঈম ও তার ছোট ভাই সায়েম তৈরি করেছেন একটি কিশোরগ্যাং,যাদের কাজই হল অপরাধ জগতের রাজা হওয়া।
দশমিনা থানাধীন,বহরমপুর ইউনিয়নের বশার নামে পেশায় রাজমিস্ত্রি তার ফার্মেসির কাছে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন,বসারের ভাড়া বাসায় তার এলাকার একটা ছেলে নাম আরিফ তার বাসায় ভাড়া থাকতো,ঠিকমতো টাকা পয়সা না দেওয়ায় তাকে রুম থেকে না বলে দেয়া হয়েছে,কিন্তু তিনি যখন বাসায় ছিলেন না, ফ্যামিলি সহ নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার ফাঁকে ওই আরিফ ছেলেটি তার বাসায় আসে,রুম তালা মারা দেখে তালা ভেঙ্গে তিনি ভিতরে যান।
ওখানের আশেপাশের কিছু লোকের অভিযোগ তিনি দুই তিনটা মোবাইল ও কিছু টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। বসার বাসায় এসে তার তালাভাঙ্গা দেখেন এবং ভুক্তভোগীদের অভিযোগ শুনেন,পরে তার বাসায় তিনি একটি নতুন তালা লাগান। যারা অভিযোগ করছেন তাদের মোবাইল নিয়ে গেছে তারা নাঈম এবং নাঈমের ভাই সায়েমকে ভাড়া করা ।
বসার কে জোর করে তাদের জিম্মায় নিয়ে যান,মারধর করে তার কাছে ৯০ হাজার টাকা দাবি করেন।বাশার তার নিজের অপরাধ সম্পর্কে জানতে চাইলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।তারা বলেন তোমার বাসায় আগে ছিল এখন সব তুমি দিবা।তাকে মারধর এবং হুমকি-ধমকি দিয়ে জোর করে ২৫ হাজার টাকা আদায় করেন।বিকেল পাঁচটা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত তাকে আটকে রেখে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করেন।বসার বলেন আরিফ ছেলেটি আমার বাসায় আগে থাকতো তাকে আমি না বলে দিয়েছি রুমে থাকার জন্য, সে যদি চুরি করেও থাকে আমি তো দেখিনি করতে ও বলিনি।
তাহলে আমার দোষটা কোথায়,বসার আরিফকে খুঁজে দেওয়ার ব্যাপারেও আশ্বাস দেন,অথবা আরিফের বাড়ি নিয়ে যাবেন বলে বলেন,কিন্তু অভিযোগকারীদের পক্ষপাতিত্ব হয়ে নাঈম এবং তার ভাই সায়েমসহ তাদের কিশোর গ্যাং বাহিনী কোন কথাতেই রাজি হয়নি।এক পর্যায়ে রাত ১২ টায় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন সইতে না পেরে বসার টাকা দিতে বাধ্য হন,সেই টাকা নাঈম এবং সায়েমসহ তাদের বাহিনীর অন্য লোকেরা ভাগ করে নেন।এলাকার লোকজনের প্রশ্ন যার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তাকে না ধরে বসারের বাসায় ছিল বিদায় তাকে মারধর করে টাকা নেওয়া ঠিক হয়নি।এবং যারা চুরির অভিযোগ দিয়েছেন টাকা তারা না নিয়ে নাঈমের হাতে দিলেন নাঈম তার সাথে থাকা সবাইকে তা ভাগ করে দিলেন।
যাদের টাকা মোবাইল নিলো টাকাটা তারা না নিয়ে নাঈমের হাতে কেন দিলো আবার নাঈম কেন তা ভাগ করে দিল তাহলে কি আদৌ টাকা চুরি হয়েছে? এটাই এখন প্রশ্ন, নাকি তারা একটা নাটক সাজিয়ে বসার কে ফিটিং দিলো।