কি চেয়েছি? কি হচ্ছে? কি দেখছি?
নিজস্ব প্রতিনিধ: বাহাদুর চৌধুরী
বাংলাদেশ পুলিশের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার ফলাফল আজ ভোগ করছে সর্বস্তরের অসহায় মানুষ ।কিন্তু প্রশ্ন হলো বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া সব পুলিশ কি অপরাধী ছিল?যারা ছোটো পদে চাকরি করে তারা রাজনীতি করেনা,পেটনীতি করে এটাই বাস্তব। যারা অপরাধী ছিলো তাদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারতো না কি? সরকারি চাকরি করে সরকারের অডারের বাহিরে কখনোই কোনোকিছু করা সম্ভব নয় এটা আপনি আমি সবাই একমত হতে বাধ্য। যারা নিজেদের জীবনকে দেশের সেবায় উৎসর্গ করেছিল, সেই নিরপরাধ পুলিশ সদস্যদের কথা কি আমরা ভুলে গেছি? তাদের পরিবারের দায়িত্ব কে নেবে? অনেক পরিবার আছে, যেখানে পুলিশ সদস্য ছিলেন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাদের মৃত্যুর পর সেই পরিবারগুলো কীভাবে বেঁচে আছে, তা কি কেউ ভেবে দেখেছে? না, তাদের খোঁজ নেয়নি কেউ।
সবচেয়ে দুঃখজনক হলো, যারা আসল অপরাধী, যারা উচ্চপদস্থ অফিসার হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিল, তাদের কাউকেই ছোঁয়া যায়নি। কিন্তু জীবন দিতে হলো সামান্য কনস্টেবলদের, যারা হয়তো নিজের পরিবারের জন্য শেষবারের মতো ডিউটিতে গিয়েছিলেন।
এখন আবার মাঝে মাঝে অনেকের মুখেই বড় বড় তকমা ওঠে —পুলিশ কাজ করে না। কিন্তু কেউ কি ভেবে দেখেছেন, এই অবস্থায় একজন পুলিশ সদস্যের মানসিক অবস্থা কেমন? যেখানে নিজের নিরাপত্তা নেই, সেখানে সে অন্যের নিরাপত্তা কীভাবে দেবে? রাস্তায় দাঁড়িয়ে লেবাসধারী পাতি নেতাদের ধমক খেতে হয়, সন্তানের সমতুল্য ছাত্রদের থেকে অপমানিত হতে হয়। কেউ প্রতিবাদ করলেই চাকরি যায়, জীবনের নিরাপত্তা নেই।এখন পর্যন্ত দায়িত্বশীলদের কোনো একজন এই কথাটা বললো না,যে পুলিশ অপরাধ করলে আমরা ব্যবস্থা নিবো,বাট অন্য কেও পুলিশের ওপর হামলা করলে তার কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অস্ত্রের ব্যবহারের অনুমতিও কেও দিচ্ছে না।বহু বছরের দাবি, রাজনীতি মুক্ত, স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের দাবিও কেও পূরন করছে না। তাহলে সেই পুলিশ যাবে কোন দিকে?
অন্যদিকে, রাজপথে নাশকতা চললেও সাধারণ মানুষ পুলিশকে ভিলেন বানায়।পুলিশ কোনো কাজ করে না পুলিশলীগ—এই ধরণের ট্যাগ দিয়ে প্রতিনিয়ত আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ছোট করা হয়। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ কি করবে? তারা কি শুধু নীরব দর্শক হয়ে থাকবে নাকি সাহস করে দায়িত্ব পালন করবে? কিন্তু সাহস দেখালেই আবার চাকরি যাবে, কিংবা মার খেয়ে জীবনও যেতে পারে যা দেখছি যা হচ্ছে।
বাস্তবতা হলো, পুলিশও এই সমাজেরই অংশ। তাদেরও পরিবার আছে, অনুভূতি আছে। আমাদের উচিত ভালো-মন্দ আলাদা করে দেখা, সব পুলিশকে একই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিৎ নয়। যদিও পূর্বের ভুলের জন্যে পুলিশের পক্ষ থেকে ক্ষমা পার্থনা করার হয়েছে।তাহলে পূর্বের ভুলগুলো ক্ষমা করে দিয়ে,সাধারন জনগন কি পারেনা পুলিশেকে আপন করে নিয়ে কাধে কাধ মিলিয়ে একসাথে দেশটাকে সুরক্ষিত করতে.?
সমাজকে সুরক্ষিত রাখতে হলে পুলিশকে দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত পরিবেশ দিতে হবে।পুলিশকে সহযগিতা করতে হবে। না হলে এই বিশৃঙ্খলা আরও বাড়বে? আর ভুক্তভোগী হবে সাধারণ মানুষই সাথে সাথে আমাদের গণমাধ্যম কর্মীরা।