চট্টগ্রাম অফিস :: স্বৈরাচারীতা ৫ অগাস্টের আগে যতটা উপলব্ধি করিনি, ৫ অগাস্টের দুপুর থেকে তার শতভাগ উপলব্ধি করছি, করেই যাচ্ছি।
একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমরা নিজেরা এখন সর্বস্তরে নিরাপত্তাহীনতায়, একদিকে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার হুংকার, অন্য দিকে সংস্কারের পর নির্বাচন আয়োজনের চাপ এবং ফ্যাসিষ্ট সরকারের রেখে যাওয়া সেনা প্রধানের হুশিয়ারী,দেশে নতুন নতুন ইস্যুতে উৎকণ্ঠে ভুগছে সাধারণ জনগণ!
এই ক'মাসে স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তার দোসরদের বিশৃঙ্খলা বর্তমান শাসন ব্যবস্থায় প্রতিনিয়ত বীভৎসতার সৃষ্টি করে যাচ্ছে, প্রতিটা দিন কোনো না কোনো নৃশংসতার সংবাদ চোখের সামনে ভেসে বেড়াচ্ছে।
যেনো চাঁদাবাজি , ছিনতাই,ডাকাতি, পিটিয়ে মানুষ হত্যার মহোৎসব চলছে পুরো দেশ জুড়ে। আর এতে মুখোশের আড়ালে থাকা স্বৈরাচারী ফ্যাসিষ্ট ভারতীয় দোসরেরা সেই মহোৎসবকে উদযাপন করছে অতি আনন্দে।
অন্য দিকে রাজাকার রাজাকার শব্দ দিয়ে ছাত্র-তরুণ প্রজন্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে অপরাজনীতির ক্ষমতালিপসু ফ্যাসিষ্টের দোসরা। যেনো এই বাংলাদেশের সভ্যতা,সংস্কৃতি আর প্রগতিশীলতা নির্বিঘ্নে ধ্বংসের মহা আয়োজনে মেতেছে বর্বরেরা।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ডঃ ইউনুস সাহেব ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে বিশ্ব দরবারে নিজেকে কতোটা যোগ্যতার পরিচয় দিলেন তা এই কয়মাসেই প্রমাণিত।
তিনি যেহেতু নির্বাচিত কোনো সরকার নন,আর তার অধীনস্থ উপদেষ্টা মহলও জনগণের নির্বাচিত কেউ নন, সেক্ষেত্রে তাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রের অবকাঠামো থেকে বিশৃঙ্খলা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে দ্রুত আইন, বিচার ও প্রশাসন কে ঢেলে সাজিয়ে সব দলে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিবাদীদের নির্মূলের ব্যবস্থা করা। সংস্কারের বিরোধীতার নামে যতটা ভয়ানক স্বৈরাচারীতার উদ্ভব হয়েছে তার পরিনতিতে এই রাষ্ট্রের ধ্বংস অনিবার্য।
সুতরাং, এখন জনগণের উচিৎ নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করে নব্য ফ্যাসিষ্ট ও দুর্বৃত্তায়নদের হাত থেকে রাষ্ট্রকে রক্ষা করে উপযুক্ত পরিবর্তন ও পরিবেশে নির্বাচনের চিন্তা প্রয়োগ করা।
লেখক পরিচিতি ::
সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ ন্যাপ।