হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :
কাজের জন্য লিবিয়ায় গিয়ে সেখানকার একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানির নির্যাতনের শিকার বিভিন্ন জেলার ২৭ বাংলাদেশি দেশে ফেরার জন্য সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন। লিবিয়া থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তাঁরা এ আবেদন জানান।
সম্প্রতি ওই শ্রমিকেরা গোপনে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার এক গণমাধ্যমকর্মীর কাছে পাঠানো ভিডিওতে এই আকুতি জানান। লিবিয়ায় আটক ও নির্যাতনের শিকার ওই শ্রমিকেরা হবিগঞ্জ, দিনাজপুর, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া, নওগাঁ, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, গাজীপুর ও ঝিনাইদহ জেলার বাসিন্দা।
নির্যাতনের শিকার ২৭ শ্রমিকের মধ্যে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের টেকারঘাট গ্রামের বাসিন্দা আলামিন মিয়া রয়েছেন। সবার মুক্তির দাবিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
আলামিনের স্বজনেরা বলছেন, ভুয়া ভিসায় লিবিয়া নিয়ে নিয়োগকর্তা ও রিক্রুটিং এজেন্সির দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের কারণে ওই শ্রমিকেরা বিপদে পড়েছেন। বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত এবং ভুক্তভোগীদের অনতিবিলম্বে দেশে ফেরত পাঠানোর দাবি তাঁদের।
শ্রমিকদের অভিযোগ, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয় না তাঁদের। বরং বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে বেতন-বোনাস দিচ্ছে না কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। চার দেয়ালের ভেতরে বন্দিশালার মতো আটক তাঁরা। খাওয়াদাওয়া ও চিকিৎসা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে মানবিক সংকটে রয়েছেন ২৭ বাংলাদেশি।
শ্রমিকেরা বলেন, রিক্রুটিং এজেন্সি ও নিয়োগকর্তা তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা যেন তাঁদের উদ্ধার করার ব্যবস্থা নেন, সেই আবেদন জানান তাঁরা।