নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন শাহপরান (রহ.) থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনির হোসেন এর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় ওসির ক্ষোভের রোষানলে পড়েছেন সিলেটের এক মূলধারার সাংবাদিক।
জানা গেছে- সাংবাদিক মোঃ রায়হান হোসেন গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর ২০২৪ইং) তারিখে “টাকা মিলবে কাঁড়ি কাঁড়ি যদি ছাড়েন চিনি গাড়ি” শিরোনামে দৈনিক আলোকিত সিলেট পত্রিকায় এবং একই তারিখে সিলেটের অপরাধীর আতংকখ্যাত শীর্ষ অনলাইন ক্রাইম সিলেট পত্রিকায় “শাহপরানে চোরাকারবারিদের রক্ষার কবজ ওসি হলেও গলার কাঁটা আইসি” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করেন। প্রকাশিত সংবাদে শাহপরান (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনির হোসেন চিনি চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট তথ্য তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ করায় ওসির ক্ষোভের রোষানলে পড়েছেন তিনি।
গত (২৩ নভেম্বর) প্রথম সকাল নামীয় একটি অনলাইন পোর্টালে “সিলেটে গভীর রাতে সাংবাদিক পরিচয়ে চোরাকারবারিরা সক্রিয়” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করান ওসি নিজেই। উক্ত প্রকাশিত সংবাদের গর্বে ওসির বক্তব্যের কলামে ওসি সাংবাদিক রায়হানকে কথিত সাংবাদিক উল্লেখ করে বক্তব্য প্রদান করেন। একজন মূলধারার সাংবাদিককে নিয়ে প্রকাশ্য ওসির এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য সিলেটের গোটা সাংবাদিক সমাজের দিকে আঙ্গুল তুলার সমতুল্য। মূলত ওসির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের ফলস্বরূপ ওসি ক্ষোভের রোষানলে মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য দিয়ে তার নামে এরূপ সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন।
এদিকে একজন মূলধারার সাংবাদিককে নিয়ে ওসি মোঃ মনির হোসেন এর এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেটের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা।
এ বিষয়ে সাংবাদিক মোঃ রায়হান হোসেন জানান- আমি ওসির বিরুদ্ধে পূর্বে সংবাদ প্রকাশ করায় তিনি ক্ষোভের রোষানলে এমনটা করেছেন। আমি এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ওসির এরূপ কর্মকান্ডে আমি আশংকায় আছি যেকোনো মূহুর্তে ওসি আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ঘায়েল করার অপচেষ্টা চালাতে পারেন।
এ বিষয়ে শাহপরান (রহ.) থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনির হোসেন এর সরকারি সেলফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- আপনি যখন আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করতে পেরেছেন তাহলে আমি বক্তব্য দিলে সমস্যা কি? তাহলে সংবাদ করায় ক্ষোভের রোষানলে আপনি এমন বক্তব্য দিতে পারেন কি? এমন প্রশ্নের জবাবে কিছু না বলেই তিনি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এর সরকারি সেলফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোনকল রিসিভ করেন নি তবে হোয়াটসঅ্যাপে এক খুদে বার্তায় জানান- যিনি রিপোর্ট করেছেন উনি ওসি সাহেবের সাথে কি কথা বলেছেন এবং ওসি সাহেব কি বলেছেন সেটা উনি ভালো বলতে পারবেন।
Sharing is caring!