মোঃ রায়হান হোসেন: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রতাপপুর (হাজীপুর) দেলোয়ার হোসেন দুলুর পুত্র জসিম উদ্দিন। সীমান্তবর্তী চোরাচালান সিন্ডিকেটের কাছে সে ‘বিজিবি ও পুলিশের লাইনম্যান’ হিসেবে পরিচিত। সীমান্তে চোরাচালানের লাইন পরিচালোনা করে হয়েছেন অঢেল কালো টাকার মালিক।
বর্তমান সময়েও তিনি চোরাচালান নিয়ন্ত্রনে গড়ে তুলেছেন আলাদা ৮০ জনের সিন্ডিকেট। ২ং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন যুবদলের রাজনীতেতে জড়িত এই নেতা শান্তি দিচ্ছেন না নিজের দলকেও। চোরাকারবারি ছাড়াও দলীয় মিছিল-মিটিংয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লোকজনকে এনে নিজের শক্ত অবস্থান দেখাতে গিয়ে হয়েছেন বিতর্কিত। এমনকি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পূর্নভাসনেও মরিয়া তিনি। প্রতাপপুর সীমান্তে ‘বিজিবি ও পুলিশের লাইনম্যান’ পরিচয়ে জসিমের চালাচ্ছে ওপেন চাঁদাবাজি। তার বিরুদ্ধে বার বার বেপরোয়া নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেলেও বিজিবি-পুলিশ রয়েছে নিরব। কারণ বিজিবি ও পুলিশের কালো টাকার মেশিনই হচ্ছে কথিত যুবদল নেতা জসিম।
বিজিবি ও পুলিশের নামে টাকা উত্তোলনের পথ শক্ত করতে জসিমের নেতৃত্বে চোরাকারবারে জড়িত স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রায় ৮০জন ক্যাডার নিয়ে গড়ে তুলা হয়েছে একটি গ্রুপ। এ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের একটি ভিডিও নিয়ে ইতিমধ্যে মিডিয়াপাড়ায় চলছে তুমুল আলোড়ন!
জসিম ও তার সিন্ডিকেটের হাত ধরে পান্তূমাই, বাবুর কোনা, হাজিপুর, আগলছপুর, লামাপুঞ্জি, নশকিয়াপুঞ্জি, মন্দির ঘাট, পুরাতন সংগ্ৰাম পুঞ্জি, প্রতাপপুর পুঞ্জি,ও মগলিন সীমান্ত হয়ে চা বাগান এলাকা দিয়ে দৈনিক রাধানগর বাজারে নিরাপদে প্রবেশ করেছে চিনি, চা পাতা, পান, সুপারি, আলু, টমেটো, কমলা,হালিম, পিয়াজ, জিরা,কসমেটিক, শাড়ি, থ্রিপিস, লেহেঙ্গা, সহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য। আর এসব পণ্য বাবদ প্রতাপপুর ‘বিজিবি ও পুলিশের’ নামে জসিমসহ তার ক্যাডাররা চোরাকারবারীদের নিকট থেকে প্রতিদিনি লক্ষ লক্ষ টাকা প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে। এসব সীমান্তে জসিম সিন্ডিকেটের ইশারায় বেপরোয়া গতিতে ছুঁটছেন চোরাকারবারীরা।
এসব বিষয়ে জসিম উদ্দিনের ব্যবহৃত সেলফোনে কয়েক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে না পাওয়ায় বক্তব্য সংগ্রহ সম্ভব হয়নি।
Sharing is caring!