নিজস্ব প্রতিনিধি:- নগরীর উপশহর থেকে কার ছিনতাইয়ের অভিযোগ দায়েরের ১১ দিন পর অবশেষে মামলা নথিভুক্ত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন। শনিবার ২৩ নভেম্বর বিকাল ৫ ঘটিকার সময় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শাহপরান থানার ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মনির হোসেন। মামলা নং- ২১। মামলা নথিভুক্তের কয়েকঘন্টার মধ্যে এজাহার নামীয় ৪ নং আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও দীর্ঘ ৭ দিনে মামলা নথিভুক্ত না করায় হতাশ ছিলেন বাদী।
জানা যায়, গত ১৩ নভেম্বর সিলেট নগরীর সোনারাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মালেক সেকু বাদী হয়ে একটি ছিনতাই মামলা করেন। ১ সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও মামলাটি নথিভুক্ত না হওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অবশেষে মামলাটি নথিভুক্ত হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেন ভুক্তভোগী আব্দুল মালেক সেকু।
গ্রেফতার ১:- মামলাটি নথিভুক্ত করার কয়েকঘন্টার মধ্যে মামলার এজাহার নামীয় আসামী মনির আহমদকে গ্রেফতার করেছে শাহপরান থানা পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে তাকে উপশহর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মনিরকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপশহর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ আবুল হোসেন।
গ্রেফতারকৃত মনির গত ১৩ নভেম্বর উপশহর থেকে কার ছিনতাইয়ের অভিযোগে দায়ের করা মামলার ৪ নং আসামী।
সে উপশহরের চিন্হিত ছিনতাইকারি কামরুল হাসান উরফে লম্বা হাসান উরফে হাসান রাজার সহযোগী। পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলার সূত্র ধরে মনিরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মনির শাহজালাল উপশহরের ডি ব্লকের ২৫ নং রোডের বসবাস করতেন।
উল্ল্যেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর শাহজালাল উপশহরস্থ ডি ব্লকের ২৪ নং রোডের গলির মুখ থেকে আব্দুল মালেক সেকুর প্রাইভেট কারটি যাহার রেজি নং- ঢাকা মেট্রো-গ-৩১-০৬৫১, চেসিস নং- NZE121-3267120, ইঞ্জিন নং- INZ5241062 আব্দুল মালেক সেকুর ড্রাইভারের কাছ থেকে ছিনতাইকারিরা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
এসময় ছিনতাইকারিরা সেকুর ড্রাইভারকেও মারধরসহ ভয়ভীতি দেখায়। এ ঘটনায় সেকু বাদী হয়ে ১৩ নভেম্বর সিলেট শাহপরান থানায় ১। কামরুল হাসান ওরফে লম্বা হাসান ওরফে হাসান রাজা (৩৫), পিতা- খবিরুল হক, স্থায়ী ঠিকানা- গ্রাম: হাইদ্রাবন, থানা- জকিগঞ্জ, সিলেট, বর্তমান শাহজালাল উপশহর, সিলেট, ২। আব্দুল করিম (৩২), পিতা- অজ্ঞাত, স্থায়ী ঠিকানা- বিশ্বনাথ, জেলা- সিলেট। বর্তমান ঠিকানা- বাসা নং- ০৫, রোড নং- ২৪, ব্লক- ডি, শাহজালাল উপশহর, সিলেট, ৩। ফয়সল আহমদ (৩২), পিতা- অজ্ঞাত, সাং- মাছিমপুর, থানা- কোতোয়ালী, জেলা- সিলেট। ৪। মনির আহমদ (৩২), পিতা- অজ্ঞাত, সাং- ডি ব্লক, রোড- ২৫, শাহজালাল উপশহর, সিলেট। ৫। সেলিম আহমদ (৩০), পিতা- অজ্ঞাত, সাং- বিশ্বনাথ, সিলেট। ৬। রাশেদ আহমদ (৩০), পিতা- অজ্ঞাত, স্থায়ী ঠিকানা- কুমিল্লা, চাঁদপুর, বর্তমানে সাং- পশ্চিশ সোনারপাড়া, থানা- শাহপরাণ (রহ:), জেলা- সিলেট সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন লোকদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।