ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ-
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের ০৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার সরোয়ার হোসেন মৃধা (৫৫)কে গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে যুবকের চুল কাটার দায়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে গ্রেফতারের পর কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছেন থানা পুলিশ।
একই সাথে মামলার আরেক আসামী উক্ত সালিশ বৈঠকের বাদী টুকু প্রামানিক (৩৮)কে এ মামলায় চালান করা হয়েছে বলে জানা গেছে। চরভদ্রাসন থানা মামলা নং-০৮, তাং-১৪/১১/২০২৪ ইং।
আর চুলকাটা যুবক ওই ওয়ার্ডের লোহারটেক গ্রামের আইয়ুব খানের ছেলে তপু খান (১৭) সালিশ বৈঠকের অপমান ও গ্লানি সইতে না পেরে গত ১৩ নভেম্বর দুপুরে আত্নহুতির উদ্দেশ্যে নিজ ঘরের আড়ার সাথে গলায় দড়ি পেচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে পরে।
এ সময় ঘটনা টের পেয়ে স্বজনরা তাকে ফাঁসির দড়ি থেকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে রেফার্ড করা হয়েছে বলে জানা যায়।
এ ঘটনায় আহত যুবকের চাচা রাজু মিয়া চরভদ্রাসন থানায় একটি মামলা করলে দুই আসামীকে গ্রেফতার করে ফরিদপুর কোর্টে চালান করেন পুলিশ।
ঘটনার বিবরন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রগুলো জানায়, মাত্র চারদিন আগে আহত যুবক লোহারটেক গ্রামের বাড়ীর সামনের রাস্তা দিয়ে মটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় চার রাস্তার মোড় নামক স্থানে মটরসাইকেলের সাথে টুকু প্রামানিকের বাছুর গরুর দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে বাছুর গরুটির একটি পাঁ ক্ষত হয়। বাছুর গরুর দুর্ঘটনা নিয়ে গত ১২ নভেম্বর রাতে উক্ত রাস্তার মোড়ে দোকান ঘরের সামনে একটি গ্রাম্য সালিশ বৈঠক বসে।
এ সালিশের সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ খান। সালিশে মোটরসাইলে চালক যুবককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সালিশ সিদ্ধান্তর পরও উক্ত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সরোয়ার হোসেন মৃধার নেতৃত্বে জনসম্মুখে যুবতের মাথার চুল কেটে অপমান করা হয়।
এ অপমান ও গ্লানি সইতে না পেরে পরের দিন দুপুরে উক্ত যুবক সালিশ বৈঠককে দায়ী একটি চিঠি লিখে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে পড়লে স্বজনরা তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করেন।