ক্রাইম রিপোর্টারঃ সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক পৌরসহরে বৃহত্তর সিলেট বিভাগের সকল পাথর কোয়ারী খুলে দেওয়া এবং লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড কর্তৃক অবৈধভাবে ভাঙ্গা চুনাপাথর খোলা বাজারে বিক্রির প্রতিবাদে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বিকেলে ছাতক পৌরশহরের বেবি স্ট্যান্ড এলাকায় ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টস এন্ড বিজনেসমেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন (IBWF) ছাতক পৌরসভার উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের ছাতক পৌরসভার সভাপতি আবদুল হাই আজাদ এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি হুমায়ূন কবির এবং প্রচার সম্পাদক নাজমুল হাসান জুয়েল এর যৌথ পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় সদস্য সচিক ড. নুরুল ইসলাম বাবুল।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সিলেট মহানগরের সভাপতি জুবায়ের রকিব চৌধুরী, সেক্রেটারি আলিমুল ইসলাম চৌধুরী, এডভোকেট রেজাউল করিম তালুকদার, সিবিএ সভাপতি শাহ আলম, সংগঠনের সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, সেক্রেটারি বদরুল কাদির শিহাব, ছাতক পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফজলু মিয়া চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট সূফি আলম সোহেল, বিএনপি নেতা ডাক্তার আফসার উদ্দিন ও শামছুর রহমান শামছু, ছাতক ব্যবসায়ী সমিতি ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব আবুল হাসান, পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সামছু মিয়া, ছাতক পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি আলী আসগর সোহাগ, মধ্যবাজার ব্যবসায়ী কমিটির সেক্রেটারি ছাদিক তালুকদার, জাগ্রত ছাতকবাসীর সদস্য সচিব নজমুল হোসেন, সাবেক পৌর কমিশনার ফয়জুর রহমান, আলী আমজদ, সংগঠনের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আলম উদ্দিন এপিপি, ছাতক বালু সমিতির সভাপতি আবদুস সাত্তার, পৌর সাবেক কমিশনার ছালিক মিয়া, সংগঠনের অর্থ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইব্রাহিম ছাদেক, আল আমিন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আবু হেনা তারেক, আখতার হোসেন, আবদুল মমিন, এরশাদ আলী, আফতাব উদ্দিন, রুকন উদ্দিন প্রমুখ। শুরুতে কোরআন তেলাোয়াত করেন, ক্বারী জালাণ আহমদ।
অধিকাংশ বক্তারাই বলেন, বৃহত্তর সিলেট বিভাগের ৮টি পাথর কোয়ারী অতিদ্রুত খুলে দিতে হবে। এছাড়া লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড কর্তৃক অবৈধভাবে ভাঙ্গা চুনাপাথর খোলা বাজারে বিক্রি বন্ধ করতে হবে উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, লাফার্জ হোলসিম ফসলি জমি থেকে মাটি সংগ্রহ করে হাওর জুড়ে জলাশয়ে পরিণত করছে।
যে কারণে ছাতকেরপরিবেশ মারাত্বক ভাবে হুমখির মুখে পড়েছে। এদিকে নজর না দিয়ে পরিবেশের দোহাই দিয়ে পাথর কোয়ারীগুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে পথে বসেছেন অনেক ব্যবসায়ী, বেকারত্ব হয়ে হণ্য হয়ে ঘুরছেন দশ লাখের বেশি শ্রমিক।