মাহিদুল ইসলাম ফরহাদ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ- চাঁপাইনবাবগঞ্জে বরেন্দ্র এলাকায় সেচযন্ত্র পরিচালনা বিষয়ে উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বিএমডিএ’র আমনুরা জোনাল গোডাউন ক্যাম্পাসে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান ড. এম. আসাদুজ্জমান।
বিএমডিএ রাজশাহী’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশীদ, ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন, নওগাঁ রিজিয়ন-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মতিউর রহমান, নওগাঁ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ মো.মাজহারুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুনুর রশীদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান ড. এম. আসাদুজ্জমান মতবিনিময় সভা উপকারভোগীদের সাথে কথা বলেন, তাদের সমস্যার কথাগুলো শুনেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধানের প্রতিশ্রুতিও দেন।
প্রধান অতিথি বলেন, এখানে আগে একটি ফসল ফলাতে কৃষককে অনেক কষ্ট করতে হতো।
এসব এলাকার জলবায়ু অত্যান্ত রুক্ষ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেক কম। বিগত দিনে এখানকার কৃষি কাজ বৃষ্টি নির্ভর ছিল বিধায় বছরে একটি ফসল উৎপন্ন হতো যথাসময়ে বৃষ্টিপাত না হলে ফসল উৎপাদন ব্যহত হতো। তিনি বলেন, ১৯৮৫সালে এ অঞ্চলে এক ধরণের গভীর নলকূপ উদ্ভাবন করা হয়। ভূ-গর্ভস্থ পানি দ্বারা সেচের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতে এখন এখানে অধিক ফসল উৎপন্ন হচ্ছে। এটি সম্ভব হয়েছে বিএমডিএ সঠিক সময় কৃষকদের পানির ব্যবস্থা করার জন্য।
এখানকার ধান উৎপাদনের সমস্যা নিয়ে তিনি বলেন, মাটি ফসল উৎপাদনের অন্যতম মাধ্যম। ফসল উৎপাদন মাটির বৈশিষ্ট্যের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। মাটিই হচ্ছে পানি ও পুষ্টির প্রাকৃতিক উৎস। সব মাটিতে সব ফসল জন্মায় না। এজন্য ধানের বিকল্প সবজি ফসল চাষে পরামর্শ দেন তিনি।