মোঃ শাহজাহান খন্দকার,স্টাফ রিপোর্টার-কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলে নুর ( তানু )ও উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আহসান হাবিব রানা।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আশিকুর রহমান (আশিক) হত্যা মামলায় কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলে নুর তানু (৬০) এবং উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আহসান হাবিব রানাকে (৬১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে কুড়িগ্রাম শহরের জেলা পরিষদ মার্কেট সংলগ্ন এলাকা থেকে সদর থানা-পুলিশ ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) যৌথ অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। সদর থানার ওসি নাজমুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ফজলে নুর তানু কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের সবুজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় ইলেকট্রনিকস ব্যবসায়ী। আহসান হাবিব রানাও সবুজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উলিপুর উপজেলার এল. কে আমিন ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। তাঁদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে কুড়িগ্রামের শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট কুড়িগ্রাম শহরের শাপলা চত্বর এলাকায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গত ১০ অক্টোবর রুহুল আমিন নামে এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ১০৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন। তবে গ্রেপ্তার ফজলে নুর তানু ও আহসান হাবিব রানা এই মামলায় এজাহারনামীয় আসামি নন।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার দুই আওয়ামী লীগ নেতা ওই মামলায় প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রাপ্ত আসামি। তাঁদের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ওসি নাজমুল আলম বলেন, ‘শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলায় তানু ও রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।