হুমায়ুন ফরিদ,দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে যৌন হয়রানির অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আদালত সুনামগঞ্জে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২৮ জুলাই উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের বরকতনগর গ্রামের মৃত ইন্তাজ আলী (চেইছা) পুত্র মোঃ আজু রহমান (৩০) কে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন ওই নির্যাতিতা নারী। যার নাম্বার নারী ও শিশু পিটিশন মামলা ২৯৩/২৪।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাদে প্রতিবেশি লম্পট বিবাদী আজু রহমান একাধিকবার কুপ্রস্তাব দেয় ওই গৃহবধূকে। এমন কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় তাকে (ওই গৃহবধূকে) প্রাণনাশের হুমকি দেয় আসামী আজু রহমান। পরে ওই নারী মোবাইল ফোনে বিষয়টি তার প্রবাসী স্বামীসহ গ্রামের মুরব্বিদের জানালে আসামী আজু মিয়া আরো ক্ষেপে যায় তার প্রতি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ জুলাই রাতের প্রথম প্রহরে বাদীনির বসতঘরের দরজা খোলা থাকায় বিবাদী আজু রহমান দেশীয় অস্ত্রসহ অসৎ উদ্দেশ্যে তার শয়নকক্ষে ঢুকে। এসময় বিদ্যুতের আলোয় আসামী আজু রহমানকে চিনতে পেরে চিৎকার দিলে আসামী অস্ত্র উঁচিয়ে বাদীনিকে যৌন হয়রানি করে। এক পর্যায়ে সম্ভ্রম বাঁচাতে চিৎকার দিলে আসামী আজু রহমান তার উরুতে ছুরিকাঘাত করে তাকে রক্তাক্ত জখম করে। যৌন চাহিদা মেটাতে না পেরে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ওই গৃহবধূর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে দোয়ারাবাজার স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ ন্যায় বিচারের স্বার্থে আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ প্রদান করেন ওই নির্যাতিতা মহিলাকে। পরবর্তীতে আসামীকে গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচারের আশায় আদালতে মামলা দায়ের করেন যৌন হয়রানির শিকার ওই নারী। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবী জানান তিনি।
দোয়ারাবাজার থানা মামলা তদন্ত কারী এস আই মোহাম্মদ আবুল বাশার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন পিটিশন মামলার সার্বিক তদন্তে, প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণে, জখমীর এমসি পর্যালোচনায় এবং ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় আসামী মোঃ আজু রহমান নির্যাতিতা নারীকে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা ঘটনা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধীত/০৩) এর ৯(৪) (খ) ধারা এবং ছুরি দিয়ে ডান পায়ে কাটা রক্তাক্ত জখম করে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয় মর্মে আমি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছি।