ক্রাইম রিপোর্টার :: ছাতকে পূর্বের শত্রুতার জের ধরে মিথ্যা সিএনজি চুরির মামলায় জেল খাটানো এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ করে মানহানীর অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন গোবিন্দগঞ্জ সৈদের গাঁও ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মোল্লাআতা ইলামের গাঁও গ্রামের বাসিন্দা মোঃ লায়েক মিয়া (৩০)।
ছাতক অনলাইন প্রেসক্লাব কার্যালয়ে
আজ ১২/১০/২৪ ইংরেজি রোজ শনিবার দুপুর ২ ঘটিকায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ১৬/০৯/২৪ ইংরেজি রোজ সোমবার সন্ধ্যা ৭ টায় উনার নিজ গ্রামের বাসিন্দা আব্বাস আলী(৫৪) পূর্বের শত্রুতার জের ধরে তাজপুরের দেলোয়ারের করা এক ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা সিএনজি চুরির মামলায় ছাতক থানা পুলিশের মাধ্যমে উনাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
তিনি আরও দাবি করেন ২০১০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি প্রবাসে কাটিয়েছেন। এই সিএনজি চুরির সাথে উনার কোন ধরনের সম্পৃক্ততা নাই। যাদেরকে এই চুরির মামলায় আটক করা হয়েছে তাদের কাউকে তিনি কখনো দেখেননি, তারাও উনাকে চিনেন না। বর্তমানে তিনি নিজ গ্রামে কৃষিকাজ করেন এবং ইউরোপ যাওয়ার জন্য এক মাধ্যমে টাকা জমা দিয়েছেন। ভিসা হলে শীঘ্রই তিনি বিদেশে চলে যাবেন।
তিনি আরও বলেন সেদিন সন্ধ্যা ৭ টায় উনার নিজ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ ফোন দিয়ে বলে গ্রামে লিটনের দোকানে যাওয়ার জন্য, উনি কোন ধরনের সংকোচ না করে দোকানের দিকে রওনা হয়, ৪-৫ মিনিট হাটার পর বুরহানের বাড়ির সামনে আব্বাস আলীর নেতৃত্বে
আনোয়ার, শরিফ, ডালিম, সারোয়ার, দেলোয়ার সহ আরও কয়েকজন আমাকে আক্রমণ করে। ততক্ষণে সিএনজি এসে আরো কয়েকজন মিলে আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যায় গোবিন্দগঞ্জ সিএনজি স্টেন্ড এর অফিসে, সেখানে গিয়ে দেখি অনেক মানুষ অবস্থান করছে।
জানতে পারি সেখানে তিনজনকে সিএনজি চুরির অপরাধে ধরে রাখা হয়েছে। তখন তাদের সাথে আমাকে নিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন এবং ফেসবুকে লাইভ করে চোর বলে প্রচার করা হয়। পরবর্তীতে ছাতক থানা পুলিশের মাধ্যমে আমাকে সিএনজি চুরির মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
পরিশেষে তিনি বলেন, আমি গরিব ঘরের সন্তান কিন্তু চোর নয়। আপনারা আমার এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন এমন কোন অভিযোগ পান কিনা। যারা আমাকে এই ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোর বানিয়ে তা প্রকাশ করেছে আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এই বিষয়ে ছাতক অফিসার ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া হাসান বলেন, মামলার বিষয় টি সঠিক। কে দোষী না নির্দোষ সেটা খুব শীগ্রই তদন্তের মাধ্যমেই জানা যাবে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করা যাবে না।