স্বপ্না শিমু ,স্টাফ রিপোর্টার
মাদারীপুরে ক্লিনিকের বাথরুম থেকে উদ্ধার হওয়া সেই নবজাতক অবশেষে নতুন ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে। তার ঠাঁই হয়েছে এক সিঙ্গাপুর প্রবাসীর ঘরে।
৩৫টি আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে সাড়ে তিন লাখ টাকার বন্ডে এক নিঃসন্তান দম্পতির হাতে শিশুটিকে তুলে দেয়া হয়। সন্তান পেয়ে খুশি ওই দম্পতি।
আদালতের নির্দেশে প্রতি দুই মাস পর পর শিশুটির শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়ে প্রতিবেদন জমা দেবে সমাজসেবা অধিদফতর। বাথরুমে পাওয়া সেই নবজাতকের ঠাঁই হলো
সিঙ্গাপুর প্রবাসীর ঘরে জানা যায়, গত ২ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহরের লেকের দক্ষিণপাড়ের বাবু চৌধুরী জেনারেল হাসপাতালের বাথরুমের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় এক নবজাতককে দেখতে পান পরিচ্ছন্নতা কর্মী সাথী বেগম। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে সমাজসেবা অধিদফতর। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিশুটিকে দত্তক নিতে ভিড় করেন অনেকে। নবজাতককে দত্তক নিতে মাদারীপুর শিশু আদালতে একে একে ৩৫টি আবেদন জমা পড়ে। সোমবার দিনব্যাপী চলে শুনানি।
যাচাই-বাছাই শেষে সিঙ্গাপুর প্রবাসী নাদিম আকন ও সাদিয়া আক্তার দম্পতিকে দত্তক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন আদালতের বিচারক রিফাত মোল্লা। সাড়ে তিন লাখ টাকার বন্ডসহ পাঁচটি শর্তে শিশুটিকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর মঙ্গলবার বিকেলে নতুন মা-বাবার হাতে শিশুটিকে তুলে দেয়া হয়।
শহরের পাঠকাকান্দি এলাকায় বসবাস করেন সাদিয়া আক্তার ও নাদিম আকন দম্পতি। নবজাতকটিকে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা তারা।
শিশুকে দত্তক নেয়া সিঙ্গাপুর প্রবাসী নাদিম আকন বলেন, ‘আমি শিশুটিকে দত্তক নেয়ার জন্য সিঙ্গাপুর থেকে ছুটে এসেছি। আমি মেয়েটিকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলব। কোথাও কোনো কমতি রাখব না।’
সাদিয়া আক্তার বলেন, ‘এই শিশুটি এখন থেকে আমাদের সন্তান। মায়ের আদর দিয়ে ওকে মানুষ করব। কোনো কষ্ট-দুঃখ হতে দেব না। সুখে-শান্তিতে আমাদের পরিবারে থাকবে সে।’
মাদারীপুর সমাজসেবা অধিদফতর-এর প্রবেশন অফিসার শেখ নাহিয়ান ওয়াহিদ বলেন, ‘আদালত যোগ্য মনে করে এই দম্পতির কাছে শিশুটিকে দত্তক দিয়েছেন।
শিশুটির খোঁজখবর নিয়ে দুই মাস পর পর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন। সমাজসেবা অধিদফতর এ বিষয়ে নিয়মিত তদারকি করবে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক -শেখ তিতুমীর আকাশ।
বার্তা প্রধান : মোঃ সেলিম উদ্দিন
ইমেইল: dailyswadhinbhasha@gmail.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সকল স্বত্ব www.swadhinbhasha.com কর্তৃক সংরক্ষিত।