ডেস্ক রিপোর্ট, মনপুরা:
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ নিষেধাজ্ঞায় মৎস্য কর্মকর্তা উজ্জ্বল বনিক এর পরিচালিত ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার মেঘনায় অদ্য ০৪-অক্টোবর-২০২৫খ্রি থেকে টানা দিন ভর অভিযানের সময় মৎস্য বিভাগ ও কোস্ট গার্ড,নৌ বাহিনী ও মনপুরা থানা পুলিশসহ মনপুরা উপজেলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে দীর্ঘ ২২দিনের অভিযানে প্রায় মোবাইল কোর্ট ৫টি, অভিযান ৬০টি,আটককৃত কারেন্ট জাল প্রায় ৬লক্ষ মিটার,আটককৃত জালের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১কোঠি ২ লক্ষ টাকা,জব্দকৃত ইলিশ এতিম খানায় ও গরিভদের মাঝে বিতরন প্রায় ১০০ কেজি, মামলা করা হয়েছে - ২টি, জেল দেয়া হয়েছে ৩জনকে,মোট আটককৃত জেলে ১৪জন,এর মধ্যে ১১ জনকে মুচলেকার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে, নৌকা নিলাম বিক্রি করা হয়েছে-৮টি, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা। উক্ত আটককৃত মাছ গুলো উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানায় গরিব,অসহায়দের মাঝে বিতরন করা হয়েছে।
প্রত্যেক দিনের আটককৃত জালগুলো উপজেলার নদীর পারে এনে জন-সম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে।অপর দিকে ইলিশ অভয়াশ্রমে নিশেদাজ্ঞার প্রথম দিন থেকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে মনপুরা উপজেলার যৌথ প্রশাসন।
এর আগে অভিযান শুরু হওয়ার পরে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো ইকবাল হোসেন এর পরিচালিত অভিযানে মনপুরার মৎস্য দপ্তর ও নৌ বাহিনীর গঠিত টিম নিয়ে মনপুরার বেশ কিছু সমুদ্রগামী ফিশিং বোটে বরফ সংরক্ষণ করায় তাদের ফিশিং বোটে বরফের উপর ক্ষতিকারক কেরোসিন দিয়ে নষ্ট করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মনপুরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সুশীল সমাজের সচেতন ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকবৃন্দ।
এদিকে মনপুরা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা উজ্জ্বল বনিক বলেন ,গতকাল ২৫ অক্টোবর রাত ১২ টার পর থেকে ২২ দিনের মা ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে।জেলেরা পুনরায় আবারও নদীতে জাল পেতে ইলিশ শিকার করা শুরু করেছে।
গতকাল নিষেধাজ্ঞার শেষ দিনেও আমরা মনপুরার মেঘনায় অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ কারেন্ট জাল জব্দ করে এনে জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছি।
তিনি আরও জানান আশা করছি এবার জেলেরা নদীতে আশানুরুপ মাছ পাবে। তারা লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবে।এবারের অভিযান যথাযথ ভাবে সফল হয়েছে।অপর দিকে কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা ধরা থেকে জেলেদের কে বিরত থাকারও আহ্বান জানান মৎস্য কর্মকর্তা।