 
     ডেস্ক রিপোর্ট, মনপুরাঃ
ডেস্ক রিপোর্ট, মনপুরাঃ
ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলায় মৎস্য কর্মকর্তা উজ্জ্বল বনিকের নির্দেশনায় মৎস্য বিভাগ ও মনপুরা থানা পুলিশের একটি যৌথ টিম গত রাত ২৩ শে অক্টোবর-২৫ খ্রিস্টাব্দ মেঘনা নদীর দাশের হাট পয়েন্টে অভিযান চালায়।
অভিযানে প্রায় ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল এবং ৪ কেজি জাটকা ইলিশ আটক করা হয়। তবে এসময় কোনো নৌকা বা জেলেকে আটক করা হয় নি।জব্দকৃত জাটকা ইলিশ গরিব ও অসহায়দের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
পরবর্তীতে, আটককৃত কারেন্ট জাল সী-ট্রাগ মাছ ঘাটে এনে জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।এই পর্যন্ত মোট প্রায় ২ লক্ষ ২০হাজার মিটার কারেন্ট জাল আটক করা হয়েছে বলে জানা যায় মৎস্য দপ্তর সূত্রে।
ইলিশ অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিন থেকে মৎস্য দপ্তর ও কোস্টগার্ড ও মনপুরা থানা পুলিশের এই যৌথ টিম নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।আজকের অভিযান রাতে মৎস্য দপ্তরের কার্যক্রমে মনপুরা থানার পুলিশ ফোর্স যুক্ত ছিল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মনপুরা উপজেলা মৎস্য দপ্তরের ক্ষেত্র সহকারী মনিরুল ইসলাম ও সাসটেইনেবল কোস্টাল ও মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট এর তথ্য সংগ্রহকারী মো রাসেদ ও মো হেলাল উদ্দিন, নদী পাহারাদার মো হেলাল উদ্দিন সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
মনপুরা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা উজ্জ্বল বনিক জানান, নিষেধাজ্ঞার সময় যারা মেঘনা নদীতে মা ইলিশ শিকার করবে, তাদের আটক করার জন্য মৎস্য দপ্তরের টিম নিয়মিত অভিযানে রয়েছে। মা ইলিশ রক্ষায় তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, কিছু অসাধু জেলে সুযোগ বুঝে নদীতে মাছ শিকারে যাওয়ার খবর পাওয়া গেলে তাদের আটক করার চেষ্টা করা হয়। জেলেদের পাওয়া না গেলেও জাল জব্দ করা সম্ভব হয়।উক্ত অসাধু জেলেরা যাতে নদীতে মাছ শিকার করতে না পারে সেই জন্য এলাকার সচেতন মহলের সহযোগিতা চান মৎস্য কর্মকর্তা।
তিনি আরো বলেন অভিযানে আটককৃত নৌকা গুলো নিলামে বিক্রি করা সম্পুর্ণ হয়েছে।এবং আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।