 
     নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি
গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। কিছু দিন আগে কমিটি ভেঙে যাওয়ার কারণে তিনি সাবেক হন।
৫ আগষ্টের পর তার পদ থাকায় তিনি হন বাড়িয়া ইউনিয়নের মূর্তিমান আতঙ্ক। মামলা বানিজ্য, জমি দখল, টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটি গঠন ও কমিটির পদ দেয়ার ক্ষেত্রে নিজের পদ ব্যবহার করে লিখিত ডিউ লেটার দেয়াসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে।
এনিয়ে গত ১৪ আগষ্ট 'সত্যের সন্ধানে বিএনপি' নামক একটি ফেসবুক পেজে জাহাঙ্গীরকে নিয়ে সচিত্র একটি পোষ্ট হয়। ফেইসবুক পোস্টটি পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল: 'উনি জাহাঙ্গীর আলম। বাড়ীয়া ইউনিয়ন বি এন পির সাবেক সাধারন সম্পাদক। বর্তমানে বাড়ীয়া ইউনিয়নে ভুমি দস্যু হিসাবে ব্যাপক পরিচিত।
৫ই আগস্টের পট পরিবর্তনের পর বাড়ীয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে যেখানে জমি নিয়ে বিরোধ সেখানেই একটি পক্ষের হয়ে দখল করে নিচ্ছেন।কোন কোনটি দখলের পায়তারা করছেন। দিঘধা রহিম কোম্পানির জমি, বলধায় এড মিরুর জমি, কেশরিতায় জয়নালের জমি, আমুনায় এতিম মেয়ে হেলেনা আক্তার যুথীর জায়গাও রেহাই পাচ্ছে না।
এই ভুমি দস্যু জাহাঙ্গীরের অত্যাচারে বাড়ীয়াবাসী অতিষ্ট।মিলন ভাইয়ের খাস লোক বলে এলাকায় দাপট দেখিয়ে এসকল কুকর্ম করে যাচ্ছে। তার কারনে বাড়ীয়াতে বি এন পির ভোট কমছে জামাতের বাড়ছে।বি এন পি হাই ফোরাম দ্রুত তার বিরোদ্ধে ব্যাবস্থা না নিলে অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে যাবে।'
এছাড়া বাড়িয়া ইউনিয়নের একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে লোক পাঠিয়ে চাঁদা দাবি, মামলা বানিজ্য করে টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি একটি জমির বিচারে পুলিশ ফাঁড়িতে ছিলাম। সেখানে একটি কথা বলেছি মাত্র। এ বিষয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।