নয়ন রায়, জেলা প্রতিনিধি (যশোর):
যশোরের মণিরামপুরে আলোচিত ভ্যানচালক মিন্টু হোসেন (৪০) হত্যা মামলার প্রধান আসামি পৌর বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক সাব্বির রহমানকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার দশ দিন পর রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার হরিদাসকাটি ইউনিয়ন থেকে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মনিরামপুর সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে নিহত মিন্টুর ভাই সেন্টুর একটি চায়ের দোকান রয়েছে। স্থানীয় বিএনপি নেতা সাব্বির হোসেন দীর্ঘদিন ধরে সেন্টুর কাছে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন এবং টাকা না দিলে দোকান উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
এরই জেরে গত ২৮ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় সাব্বির ও তার সহযোগীরা সেন্টু, তার বড় ভাই মিন্টু ও মেজো ভাই পিকুলের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে তারা গুরুতর আহত হন। এ সময় তাদের বৃদ্ধ বাবা-মাকেও মারধর করা হয়।
আহত অবস্থায় মিন্টুকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হলে ২৯ আগস্ট (শুক্রবার) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের মা আমেনা বেগম বাদী হয়ে মনিরামপুর থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মিন্টুর মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
৩০ আগস্ট মিন্টুর লাশ গ্রামে পৌঁছালে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের পর পৌর বিএনপি সাব্বির হোসেনকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অরূপ কুমার বসু জানান, "এর আগে মামলার আসামি ছোট সাব্বির ও ফারুককে আটক করা হয়েছিল। প্রধান আসামি সাব্বির পলাতক ছিলেন। অবশেষে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত করে রবিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।"