স্টাফ রিপোর্টার
নেত্রকোনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক অমিতাভ বিশ্বাস গুরুতর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় অফিস সহকারী রাসেল হায়দার ও অফিসের কয়েকজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
জানা গেছে, অগ্নিশিখা টেলিভিশনের সাংবাদিক ও ইউনাইটেড জার্নালিস্ট সোসাইটি অফ বাংলাদেশ নেত্রকোনা জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ বিশ্বাস তথ্য অধিকার আইনে কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন। এ সময় অফিস সহকারী রাসেল হায়দার ও অন্যান্য কর্মচারীরা তার ওপর হামলা চালান।
অভিযোগে বলা হয়, অফিস সহকারী রাসেল হায়দার প্রথমে কিল-ঘুষি, থাপ্পড় ও পরে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সাংবাদিক অমিতাভ বিশ্বাস গুরুতর আহত হয়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন।
সঙ্গে থাকা সাংবাদিক আমানুল্লাহ আমান, লাকি আক্তার ও অন্যরা তাকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অমিতাভ বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন— “আমি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। যেকোনো সময় আমাকে মেরে ফেলা হতে পারে।” তিনি প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেন। এদিকে হামলার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ও হামলাকারীদের হুমকির মুখে পড়েন তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, অফিস সহকারী রাসেল হায়দারের পক্ষ থেকে প্রেরিত কিছু দুর্বৃত্ত হাসপাতালে গিয়ে তার চিকিৎসার কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে অফিস সহকারী রাসেল হায়দারের প্রভাব ও কারসাজিতে পুলিশ অমিতাভ বিশ্বাসকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করে। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইউনাইটেড জার্নালিস্ট সোসাইটি অফ বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন— “প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দুর্নীতি আড়াল করতে সাংবাদিক অমিতাভ বিশ্বাসকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমরা সারা দেশের সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ করে এক দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।
তিনি ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন এবং প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান।