◻️ জসিম তালুকদার, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ-
চট্টগ্রাম বাঁশখালী উপজেলার পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের রংগিয়াঘোনা গ্রামের হাজার মানুষ বর্ষার পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা দিন কাটাচ্ছে। এলাকার খাল এবং বিলের বুক ছিড়ে যাওয়া খালটি দির্ঘ বছরের বছর ভরাটে থাকার কারণে বর্ষায় নেমে আসে দূর্ভোগ।
বাঁশখালী ইকোপার্ক ও শীলকূপ ছড়া থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বর্ষণে হু হু করে বেড়ে যায় খালের পানিতে এলাকা। বাঁশখালী পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ডের রংগিয়া ঘোনার বেশ কয়েকটি মহল্লা ঢলের কবলে পড়তে হয়। একই সঙ্গে ১৯৯১ সালে বামের ছড়া ও পাহাড় থেকে নেমে আসা ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিও অব্যাহত থাকায় খালের বাঁধ ভেঙে পাড়া মহল্লার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে পুকুরসহ খালটি ভরাট হয়ে যায়। ফলে বর্ষায় বন্যার চরম অবনতির শঙ্কা দেখা দেয় মহল্লায়। এবং এই বর্ষায় ব্যাপক আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
আর বর্ষাকালে ইকোপার্কের বাঁধের পানি বেড়ে গেলে পানি ছেড়ে দেন ইকোপার্ক কর্তৃপক্ষ, যার ফলে পৌরসভার রংগিয়াঘোনা এলাকাটি এখন প্রায় প্রতিবছরই বন্যার ভয়াবহ শিকার হয়। পানির ঢলেতে রংগিয়া ঘোনা এলাকা ৬০ ভাগ অঞ্চল ডুবে যায়। এখন প্রতিবছরই বিল,খাল ডুববে এবং এটার পরিধি আরও বাড়বে বলে ভয়ে রয়েছে এলাকাবাসী। লক্ষ লক্ষ টাকার ফসল, গবাদি পশু, হাস মোরগি, রান্নাঘর, মাটির ঘরের দেয়াল গুলো ঢলের পানিতে ডুবে পড়ে যায়। ক্ষতির শিকার প্রায় ১০০০ পরিবার। মসজিদ মাদ্রাসা স্কুলে যেতে পারেনা প্লাবিত হলে ছাত্র ছাত্রীরা।
রবিবার, (২৫ মে) সরজমিনে দেখা যায় খালের বাস্তব চিত্র। বাঁশখালী পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসাইন দৈনিক আজকের বাংলা কে বলেন, বহুবছর ধরে এই অবধি রংগিয়া ঘোনার খালটি খনন করা হয়নি। প্রতিবছর শীলকূপ ইউনিয়নের ছড়া দিয়ে পাহাড়ি ঢলে ডুবে যায় রংগিয়া ঘোনার পশ্চিম অঞ্চল প্রায় অর্ধশতক এলাকা। মাটির দেয়ালের বাড়ি, রান্নাঘর,ধানেরগোলা, ফসল সহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় নেমে আসে এলাকার জনগণের চরম দুর্ভোগ।
রংগিয়া ঘোনার প্রবাসি জয়নাল আবেদীন বলেন, পৌরসভার অন্তর্গত রংগিয়াঘোনার এই খালটি খনন করলে প্রায় একহাজার পরিবার প্রতি বছর পাহাড়ি ঢলের কবল থেকে রক্ষা পাবে।