সিলেট অফিস ::
সিলেট জেলা শ্রমিকলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ খান,। যার শিক্ষাগত যোগ্যতা ৩য় শ্রেণী। আওয়ামিলীগের প্রভাবশালী নেতাদের সাথে তার গভীর স্বুসম্পর্ক থাকায় রাজনৈতিক দলের ক্ষমতার অপব্যবহার করে কামিয়েছেন লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা, সেই টাকার ভাগ পেতেন আওয়ামিলীগের সিনিয়র নেতারা। নিয়াজ খান সামাজিক সংগঠনের নামে দেশ ও প্রবাসের লোকজন থেকে টাকা নিতেন শীতবস্ত্র খাদ্য সামগ্রী বিতরণের কথা বলে, কিন্তু তার ৩ ভাগের এক ভাগ বিতরণ করে ফটোসেশন করে নিজেকে জাহের করতেন, বাকী ২ ভাগ নিজের ভুগে হজম করতেন। স্ত্রী সন্তানের অগোচরে পরকীয়া করেন, এবং প্রেমের অভিনয় করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আফিয়া বেগম সামিহা নামক মহিলার থেকে নগদ টাকা পর্যন্ত আত্মসাৎ করেছেন।
আফিয়া বেগম যখন বুঝতে পারেন নিয়াজ খান তার সাথে প্রতারণা করছে তখন তিনি নিয়াজ খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এবং নিয়াজ তখন ভিজিট ভিসায় দুবাই চলে যান, এবং সেখানে দুবাই আওয়ামিলীগের সহ সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হোন, দেশে ফিরে আসলে নিয়াজ খান কোর্টের স্যারেন্ডার করতে গেলে আদালত তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করে।
আফিয়া বেগমের মামলায় তিন মাস কারাভোগ করার পর লোক মারফতে আফিয়াকে ম্যানেজ করেন এবং জানান তাকে স্ত্রীর স্বকৃীত দিবেন বলে, পরে আফিয়া বেগম তাকে জামিন করায়।
পরবর্তীতে নিয়াজ খান সিলেট নগরীর ৩৬ নং ওয়ার্ড সোনার বাংলা এলাকায় সিকন্দর মহলে 'আফিয়া বেগম কে বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার করেন, এবং আফিয়াকে হত্যার জন্য মাজেদা খাতুন মুন্নি (২৯) নামক মহিলার সাথে ষড়যন্ত্র করে এবং আফিয়াকে হত্যার জন্য মুন্নীকে ২ লক্ষ্য টাকায় ভাড়া করে গত ২০২২ ইং ১৮ আগস্ট রাতে নির্মমভাবে আফিয়াকে হত্যা করে।
প্রাথমিক অবস্থায় পুলিশ আটক করে কারাগারে প্রেরণ করলে তৎকালীন আওয়ামিলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় ৩ মাসের মধ্যে নিয়াজ খান জামিন লাভ করেন।
বর্তমানে নিয়াজ খান নিজেকে সমাজসেবক সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বেড়ান, মাঝে মধ্যে তাকে মোবাইলে লাইভ করতে দেখা যায়,। এছাড়া তিনি এক সাথে বেশ কয়েকটি পত্রিকার দোকানধারী নিয়েছেন, নিজের অন্যায় অপকর্ম ডেকে রাখার জন্য এখন সাংবাদিক পরিচয় বেড়ান তিনি, । সচেতন মহলের দাবি এরকম অশিক্ষিত মূর্খ সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হবে, অন্যথায় এরকম লোক দেশ ও জাতির জন্য হুমকিস্বরূপ, অনতিবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।